রমজান মাসের শেষ জুমা ছিল শুক্রবার। পবিত্র জুমাতুল বিদা। এ উপলক্ষে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসলিস্নদের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আখিরাতে মুক্তির পাশাপাশি দেশ ও মুসলিম জাতির শান্তি কামনা, আল আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা চেয়ে দোয়া করা হয় মহান আলস্নাহর কাছে।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে মুসলিস্নরা বায়তুল মোকাররমে আসা শুরু করেন। দুপুর ১২টার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদের ভেতরের মূল অংশ। আজানের পর মসজিদের ওপর-নিচ ভরে যায়।
নামাজের সময় মসজিদ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। পাশে খোলা জায়গা ও মার্কেটের ভেতরে কাতার করে নামাজ আদায় করেন অনেকে। নামাজের পরে মসজিদের উত্তর প্রাঙ্গণে তাফসিরুল কোরআন হয়েছে।
গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি : এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি ও ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আল কুদস কমিটি বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার 'বিশ্ব মুসলিম ঐক্য ধরো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো' এমন স্স্নোগানে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটি। এতে জুমার নামাজ আদায় করতে আসা মুসলিস্নরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ দিন ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবি ও ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সামনে জুমা নামাজ শেষে জড়ো হন আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে আসা সাধারণ মুসলিস্নরাও এতে যোগ দেন।
এ সময় মুসলিস্নদের হাতে ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বন্ধের দাবি সম্বলিত পস্ন্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার ছিল। এ সময় গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা তারেকুল হাসান বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন।