আমদানি অব্যাহত
ভারত থেকে তিন দিনে এলো ১০৮৩ টন আলু
প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির অনুমতির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির পরিমাণও বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন দিনে এই স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ৮৩ টন আলু এসেছে দেশে। দেশের বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আলু আমদানি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৫৭ টন আলু আমদানি হয়েছিল। মঙ্গলবার ১৩টি ট্রাকে ৩৪৮ টন আলু আমদানি করা হয়। আর বুধবার একদিনে ২৬টি ট্রাকে আসে ৬৭৮ টন। বৃহস্পতিবারও বন্দর দিয়ে আলু আমদানি অব্যাহত ছিল।
আলু আমদানিকারক সাহাবুল ইসলাম বলেন, 'সরকার দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রম্নয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আলু আমদানির অনুমতির মেয়াদ দেওয়া ছিল। পরবর্তী সময়ে যা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। আবারও সেই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আলু আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা ৩ ফেব্রম্নয়ারি থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন। কিন্তু আলু আমদানি করে লোকসান হওয়ায় মাত্র চার দিন আমদানি হওয়ার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।'
ভারত থেকে আলু আমদানি করে বন্দরে যে দামে বিক্রি হচ্ছিল, বাজারে তার চেয়েও কমে বিক্রি হচ্ছিল উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'এতে করে আলু আমদানি করে লোকসান গুণতে হওয়ায় আলু আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি আবারও দেশের বাজারে আলুর দাম বাড়লে ও আমদানির মেয়াদ বাড়ানো হলে আলু আমদানি শুরু করেছেন তারা। বর্তমানে ভারত থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু আমদানি করে সরকারের কেজি প্রতি শুল্ক ৭ থেকে ৮ টাকা যোগ করে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজারে বর্তমানে কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা দরে, যার কারণে এই জাতের আলু আমদানি করছেন না তারা। বর্তমানে বন্দর দিয়ে সাদা ডায়মন্ড আলু আমদানি হচ্ছে যা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দরে এসে দাম পড়ছে ২৮ থেকে ২৯ টাকার মতো। বন্দরে এই জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। দেশীয় আলুর দাম বাড়ায় এই জাতের আলু আমদানিতে কিছুটা পড়তা থাকায় আমদানিকারকরা আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।'
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, 'আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বন্দর দিয়ে অনিয়মিতভাবে আলু আমদানি হচ্ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে আলুর আমদানি খানিকটা বেড়েছে। আর আলু আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। সেই সাথে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় অনেকটা বেড়েছে। এ ছাড়া আলু যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রম্নত যেন আমদানিকারকরা বন্দর থেকে আলু খালাস করে নিতে পারেন সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।'