সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে :মঈন খান

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এরা কেবল দুটি জায়গায় সফল হয়েছে। একটি হলো বিরোধী দলকে দমন করতে, আরেকটি হলো এ দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। বৃহস্পতিবার কারান্তরীণ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ হয়েছে উলেস্নখ মঈন খান বলেন, রোহিঙ্গা আসার পর সরকার একের পর এক আলোচনা করে গেল কিন্তু এখন রোহিঙ্গা বিষয়টি কোথায় দাঁড়িয়েছে। এর আগেও দেশে রোহিঙ্গা এসেছিল। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাদের দুইবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একবার খালেদা জিয়ার সময় আর একবার জিয়াউর রহমানের সময় রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মিয়ানমারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি সঠিক পথেই চলত তাহলে ব্যাংকে ডাকাতি হলো কেন? সরকার শুধু রাজনীতিকে ধ্বংস করেনি দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সরকারের ব্যর্থতায় রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে। তাই ব্যাংক ডাকাতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশ চালনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মঈন খান বলেন, সরকার যদি বিএনপির ওপর জুলুম না করে থাকে তাহলে গত ১৫ বছরে বিরোধী দলের প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখের ওপর মামলা দিল কেন? যারা সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছে, সরকারের অন্যায় কাজের সঙ্গে সমালোচনা করলে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার একের পর এক মামলা দিচ্ছে। আপনারা দেখেছেন গত ২৮ অক্টোবরের পরে আমাদের মহাসচিবসহ ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করেছে। কেন করা হয়েছে? সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, তাদের কারারুদ্ধ করা না হলে এভাবে সাজানো গোছানো গায়ের জোরের নির্বাচন করতে পারবে না। মঈন খান বলেন, সরকার নির্বাচন কীভাবে করে, সেটা তো বিশ্ববাসী জানেন। সাজানো গোছানো প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। সাজানো গোছানো নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করছে। বন্দুক দিয়ে ক্ষমতা পাওয়া তো অবাক করা বিষয় নয়। সারা বিশ্বের ইতিহাসে তা অনেক হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে এটাও আছে যে, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতা দখল করে ও মানুষকে নির্যাতন করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।