বিরাজনীতিকরণের নামে আমরা বুয়েটকে (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) জঙ্গিবাদের আখড়া বানাতে পারি না বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে সবসময় ছাত্ররাজনীতি ছিল। দেশের অনেক বরেণ্য রাজনীতিবিদ বুয়েট থেকে পাস করেছেন। কিন্তু একটা গোষ্ঠী নির্বাচন বয়কট করেছিল এবং পরে বিদেশিদের মুখের দিকে তাকিয়েছিল, যে কিছু হয় কি না। কিন্তু বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর ফলে তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। তারাই বুয়েটকে বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চায়।
সোমবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'মুক্তিযুদ্ধের স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি-বাচসাসের ৫৬ বছরপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, 'বুয়েটে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার বিচারও হয়েছে। কিন্তু প্রগতিশীল রাজনীতি বন্ধের আড়ালে সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় হয়েছে কি না সেটি খুঁজে বের করতে হবে।'
ক্যাম্পাসের বাইরে রাজনীতি করার অপরাধে বুয়েট ছাত্রকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার ঘটনা ঘটেছে- এটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বুয়েটে সাধারণ ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে সেটিকে সম্মান জানাই। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে একটি শ্রেণি বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত করছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।'
শিক্ষার্থীদের বিপথগামিতা থেকে বাঁচাতে সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্ব আরোপ এবং এ ক্ষেত্রে দীর্ঘ অর্ধশতাধিক বছর ধরে বাচসাসের ভূমিকার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। পাড়া-মহলস্নায় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানো দরকার। তাহলেই ছাত্ররা বিপথে যেতে পারবে না।'