সেবা অন্তর্ভুক্ত করে 'আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনানুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। অন্যদিকে, 'বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০২৪'-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ধরনের নারীদের মধ্যে যাদের বছরে আয় ১৫ হাজার টাকার নিচে, তারা এই ভাতার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া আরও তিনটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরনো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এ জন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এই আইনের আওতায় সেবাকে যুক্ত করা হয়েছে। কমোডিটির (পণ্য) পাশাপাশি সার্ভিসকে (সেবা) যুক্ত করা হয়েছে।
খসড়া আইনে থাকা সেবার সংজ্ঞা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অধীন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস চুক্তিতে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী যেকোনো সেবা।
মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা পাওয়ার বিদ্যমান শর্ত কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ধরনের নারীদের মধ্যে যাদের বছরে আয় ১৫ হাজার টাকার নিচে, তারা এই ভাতার সুযোগ পাবেন। এতদিন ১২ হাজার টাকার নিচে হলে এই ভাতা পাওয়া যেত।
সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আগের নীতিমালা অনুযায়ী এই ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বলা ছিল, তার ব্যক্তিগত বার্ষিক আয় ১২ হাজার টাকার নিচে হতে হবে। এখন ১৫ হাজার টাকার কম যাদের আয়, তারা এর আওতায় আসতে পারবেন। তবে ভাতার পরিমাণ এখনকার মতোই (মাসে ৫৫০ টাকা) থাকছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন এই ভাতার টাকা মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে জি টু জি (সরকার থেকে সরাসরি ব্যক্তি) পদ্ধতিতে দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর অনলাইনে আবেদন ও বাছাইয়ের বিষয়টিও প্রাতিষ্ঠানিক করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও তিনটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো গত বছরই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদে বিল পাস না হওয়ায় নিয়ম রক্ষার জন্য আবারও মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইন তিনটি হলো- পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন ২০২৪, বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২৪ এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪।