সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভরা মৌসুমে প্রত্যাশিত বিক্রি নেই তরমুজের

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ভরা মৌসুমে প্রত্যাশিত বিক্রি নেই তরমুজের

তরমুজের ভরা মৌসুম এখন। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পরিপক্ব মিষ্টি রসালো এ ফলটি। মৌসুম শুরুর তুলনায় দামও নেমে এসেছে অর্ধেকে। তবে সেই অনুযায়ী বিক্রি নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেটের ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় তরমুজে সয়লাব প্রতিটি বাজার। তরমুজ বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। তারপরও সরবরাহ অনুযায়ী তরমুজের চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৩৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেউ চাইলে পিস হিসেবেও বিক্রি করা হচ্ছে। ৫-৬ কেজি ওজনের তরমুজ ২০০-২৫০ টাকা, ৭-৮ কেজি ওজনের তরমুজ ৩০০-৩৫০ টাকা, ১০ কেজি বা তার বেশি ওজনের তরমুজ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ এক মাস আগে প্রতি কেজি তরমুজ ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তখন বেশির ভাগ তরমুজ যেমন অপরিপক্ব ছিল, তেমনি পিস হিসেবেও বিক্রি করা হতো না। সেই তুলনায় এখন তরমুজের পরিপক্বতা যেমন বেড়েছে, তেমনি দামও নেমে এসেছে অর্ধেকে। ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। তবে মৌসুমের শুরুতে অতিরিক্ত দামের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় তরমুজ বয়কটের ডাকা দেওয়ায়, এখন দাম কমার পর যেমন বিক্রি বাড়ার কথা ছিল, ততখানি বাড়েনি। এর সঙ্গে গত কয়েকদিনে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কম থাকায়, তরমুজ কেনায় আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। ফলে তরমুজ পচে ব্যবসায়ীদের অনেককেই লোকসান গুনতে হচ্ছে।

রাজধানীর ফার্মগেটের ফল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে এখন প্রচুর তরমুজ আছে। কিন্তু সেই তুলনায় বিক্রি নেই। কারণ মানুষের কাছে টাকা নেই। গত বছর এই সময় দিনে ৫০টি তরমুজ বিক্রি করতে পারলে, এখন ৫০টি তরমুজ বিক্রি করতে দুই দিন লাগছে।

একই বাজারের হালিম শেখ বলেন, মৌসুমের শুরুর তুলনায় তরমুজ বিক্রি বেড়েছে? তবে সেটি গত বছরের তুলনায় অনেক কম। মানুষ ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক দিছে, এই কারণেই বিক্রি কম হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ বিক্রেতা সাগর মিয়া বলেন, শনিবার দাম পড়ে যাওয়ায় ৪০০ তরমুজ বিক্রি করে ২২ হাজার টাকা লোকসান করছি। তারপরও বিক্রি মোটামুটি আছে। তবে যতখানি আশা করছি, এবার তেমন বিক্রি হচ্ছে না। কারণ মাসের শেষ মানুষের কাছে টাকা নেই। তাই দাম কমার পরও মানুষ সেভাবে তরমুজ কিনছে না।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার আবু করিম বলেন, আমরা পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করি। আড়াই থেকে ৩ কেজি ওজনের ১০০ পিস তরমুজের দাম ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, ৪-৫ কেজির ১০০ পিস তরমুজের দাম ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা, ৮-১০ কেজি ওজনের ১০০ পিস তরমুজের দাম ১৬ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, তরমুজ বিক্রি বেড়েছে। মৌসুমের শুরুতে যেখানে ২০-৩০ ট্রাক তরমুজ আসত, সেখানে এখন ২০০ এর বেশি ট্রাক আসছে। বিক্রি না হলে এসব তরমুজ যাচ্ছে কোথায়। দাম কমায় এবং সরবরাহ বাড়ায় বিক্রি বেড়েছে। তবে মৌসুম অনুযায়ী যতখানি বাড়ার কথা ততখানি বাড়েনি। এর কারণ মৌসুমের শুরুতে মানুষ অপরিপক্ব তরমুজ খেয়ে এখন আর আগ্রহ পাচ্ছে না। আর বিভিন্ন জায়গায় তরমুজ বয়কটের ডাক দেওয়ায় বিক্রি কিছুটা কম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে