পলকেই শেষ ট্রেনের টিকিট
প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষ দিন সকালের পালার প্রায় সব টিকিট দুই মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে।
শনিবার বিক্রি হয় ৯ এপ্রিলের আগাম টিকিট। সকালে দেওয়া হয় পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকিট। দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের সম্ভাব্য দিন হিসাব করে ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী গত রোববার ৩ এপ্রিল ট্রেনযাত্রার টিকিট অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।
টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন গত ২৪ মার্চ টিকিটের চাহিদা কিছুটা কম ছিল। এরপর ২৫ মার্চ টিকিট বিক্রি হয়ে যায় আধা ঘণ্টার মধ্যে এবং ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত প্রথমে ১০ মিনিট এবং পরের দুই দিন দুই মিনিটের মধ্যে প্রায় সব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে যায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, শনিবার সকাল ৮টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুর আগে রাজশাহী স্টেশনের জন্য ধূমকেতু এক্সপ্রেসে ৩৫৪টি, পদ্মা, বনলতা এক্সপ্রেস
ট্রেনে ৬৩৬টি, সিল্কিসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে ২৮৮টি, মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে ৭০টি এবং পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৬০টি আসন ছিল।
টিকিট বিক্রি শুরুর পর সকাল ৮টা ২ মিনিটে দেখা যায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ওই সময় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার শ্রেণির ৪৫টি টিকিট 'অ্যাভেইলেবল দেখালেও 'বুক' করতে গিয়ে দেখা গেছে কোনো টিকিট নেই।
পার্বতীপুর স্টেশনের জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯০টি, একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০৩টি, চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৫৮টি, দ্রম্নতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯৫টি, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭৭টি, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৪২টি টিকিট ছিল বিক্রির জন্য।
কিন্তু বিক্রি শুরুর ২ মিনিটে দেখা গেছে নীলসাগর, একতা, চিলাহাটি, দ্রম্নতযান এক্সপ্রেসের সব টিকিট শেষ।
রংপুর স্টেশনের জন্য রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১২টি এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১৪টি টিকিট ছিল টিকিট বিক্রি শুরুর আগে। ৮টা ৩ মিনিটের মধ্যে ওই টিকিটগুলো বিক্রি হয়ে যায়। ওই সময় পর্যন্ত ওই দুটি ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনের জন্য বরাদ্দ টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে দেখাচ্ছিল।
খুলনা স্টেশনের জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১০৬টি এবং চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮২টি টিকিট ছিল। বিক্রি শুরুর পর ৮টা ৩ মিনিটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিট, এসি চেয়ার সিটের কোনো টিকিট নেই, স্নিগ্ধা শ্রেণির একটি টিকিট অ্যাভেইলেবল দেখালেও বুক করতে গিয়ে দেখা যায় টিকিট নেই।
দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য রুটের ট্রেনগুলোর টিকিটও বিক্রি শুরুর প্রথম তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই আগেই শেষ হয়ে যায়।
গত ১৩ মার্চ রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরদার সাহাদাত আলী অগ্রিম টিকিট বিক্রির সূচি প্রকাশ করেন।
সূচি অনুযায়ী ২৫ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৪ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ মার্চ পাওয়া গেছে ৫ এপ্রিলের টিকিট, ২৭ মার্চ বিক্রি হয়েছে ৬ এপ্রিলের, ২৮ মার্চ পাওয়া গেছে ৭ এপ্রিলের টিকিট এবং ২৯ মার্চে মিলেছে ৮ এপ্রিলের টিকিট।
এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে না। অনলাইন পস্ন্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেল সেবা অ্যাপ ও সহজ ডটকমের পস্ন্যাটফর্ম থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল থেকে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট মিলবে।
এবার ঈদের আগে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের ৩৩ হাজার ৫০০টি টিকিট বিক্রি হবে।
ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।