মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিএসএমএমইউ'র নতুন উপাচার্য

আমি দুর্নীতি করব না প্রশ্রয়ও দেব না

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আমি দুর্নীতি করব না প্রশ্রয়ও দেব না

'দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না' জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, 'আমি আপনাদের লোক, বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। এ দেশের চিকিৎসকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়। তবে একটা কথা সবাইকে বলতে চাই আমি দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না।'

বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।

এর আগে বেলা ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে স্বপরিবারে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে নতুন উপাচার্য বলেন, 'আমি কোনো অন্যায় আবদার মানব না। এখানে প্রতিটি মানুষকে এক সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের ভাই বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আর একটা কথা বলতে চাই, আমার রুমে কেউ অযথা সময় কাটাবেন না। আমি প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে মানতে পারেন। আমি সব সময় আপনারে পাশে থাকতে চাই। আপনারা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। এতেই আমি খুশি। অন্য কোনো ভাবেই আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা যেন মাথা উঁচু করে কাজ করতে পারে, সেটা আমার অন্যতম একটি প্রধান কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, সেবা এবং গবেষণার কাজ হয়ে থাকে। আমি এই তিন ক্ষেত্রেই উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।'

অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, 'বাংলাদেশ এবং কোরিয়া সরকারের যৌথ একটা প্রজেক্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এটি বিশ্বের আইকনিক একটা হাসপাতাল। এ সময়ের মধ্যে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি কেন? সেটা আমায় জানতে হবে। এরপর যত দ্রম্নত সম্ভব আমি ব্যবস্থা নেব। আমি দায়িত্ব নিয়ে সেই হাসপাতালের জন্য বাছাই করে একটা টিম করে দেব। আমার ইচ্ছা আছে 'ফি ফর ওয়ার্ক সিস্টেম' চালু করা। বিদেশি বিশ্বমানের দক্ষ প্রশিক্ষক এনে 'টেকনোলজি ট্রান্সফার' চিকিৎকদের আরও আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে