নিঝুম দ্বীপে পুকুরে মিলল ১০ কেজি ইলিশ
প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মিলেছে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। গত বুধবার সকালে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের 'যুগান্তর কিলস্না' গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে।
জানা যায়, পুকুরটি লিজ নিয়েছেন নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সি প্যালেস রিসোর্টের মালিক আবদুল মান্নান। বিশাল পুকুরে প্রায় সাত দিন ধরে সেচ দিয়ে পানি কমানো হয়। বুধবার সকালে জেলেরা পুকুরে জাল ফেললে অন্য মাছের সঙ্গে প্রায় ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। বিগত বছরগুলোতেও এই পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুলস্নাহ আল মামুন বলেন, ২০২২ সালে প্রথম ধাপে ৩৫টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। পরে আবারও পাওয়া গেছে। এই বছর প্রথম ধাপে ১০ কেজি ইলিশ পাওয়া গেল। মাছগুলো দেখতে ভোর বেলায় মানুষের ভিড় জমে।
পুকুরের মালিক আবদুল মান্নান বলেন, প্রায় ৪০ পরিবার 'যুগান্তর কিলস্না' গুচ্ছ গ্রামের পুকুরটি ব্যবহার করে। প্রায় সাত দিন ধরে পুকুরটি সেচের জন্য মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। বুধবার পুকুরে জেলেদের দিয়ে জাল ফেলানো হয়েছে। সেই জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে ১০ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। মাছগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের। জোয়ার আসলে পুকুরটিতে পানি ঢুকে যায়। পানি ধরে রাখায় ইলিশ মাছগুলো জীবিত থাকে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় আসলে নিঝুম দ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিলস্না পুকরটিও ছিল। আবদুল মান্নান সেখান থেকে ২০২২ সালে ৬ থেকে ৭ কেজি ইলিশ মাছ পান। এবারও তিনি ১০ কেজি পেয়েছেন। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। মূলত জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় তখন ইলিশ পুকুরে এসেছে। এছাড়া আলাদা কিছু এখানে নেই।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ইলিশ মাছ একটি বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের মাছ। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। স্বাদু পানিতে ইলিশ মাছ কম বাড়লেও একটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে এটি লাভজনক নয়। এ ছাড়া স্বাদু পানিতে ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে না।