স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রসার ও বিকাশ ঘটছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, 'বাজার সিন্ডিকেট চাঁদাবাজের চেয়েও ভয়ংকর। বাজারে বেশি মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে একটি শ্রেণির ব্যবসায়ী।'
শনিবার পুলিশ স্টাফ কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপেস্নামা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপেস্নামা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স সম্পন্নকারী পুলিশ কর্মকর্তারা সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।' তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' বিনির্মাণের
লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত স্মার্ট পুলিশ গড়ে তুলতে পুলিশ স্টাফ কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপেস্নামা ইন সাইবার সিকিউরিটি কোর্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বেশি মুনাফা লাভের আশায় দ্রব্যের দাম বাড়াচ্ছে একটি শ্রেণির ব্যবসায়ী। যারা চাঁদাবাজের চেয়েও ভয়ংকর। এদের বিরুদ্ধে যেসব সংস্থা কাজ করছে, তাদের সহায়তা লাগলে পুলিশ প্রস্তুত আছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ ও র?্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কাওরান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেটাই অল্পকিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পণ্যের দামে চাঁদাবাজির চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ব্যবসায়ীদের অধিকতর মুনাফার চিন্তা-ভাবনার। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে, সেই হিসেবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চেয়ে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে। চাঁদাবাজি রোধে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডগুলো নিছক দুর্ঘটনা। নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সতর্ক থাকলে অগ্নিকান্ড রোধ করা সম্ভব। এবার ঈদে চাঁদাবাজি বন্ধে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। যেখানেই চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেখানেইর্ যাব, পুলিশ অ্যাকশনে যাচ্ছে। চাঁদাবাজদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'