বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

মাদক-গ্যাং আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন ফয়সাল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
মাদক-গ্যাং আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন ফয়সাল

রাজধানীর পলস্নবীতে মাদক ও গ্যাং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন ফয়সাল নামে এক তরুণ। একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে রানা ওরফে রানু নামের আরেক তরুণ চিকিৎসাধীন।

ফয়সাল হত্যা মামলায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকা, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনায় অভিযান চালিয়ে 'কিশোর গ্যাংয়ে'র ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন শাহিন ওরফে নাডা শাহিন (২৪), মো. মুরাদ হোসেন (২৪), পারভেজ আহম্মেদ (২২), মো. ইয়াসিন (২০), মো. সাইফুল ইসলাম সাইমন (৩০), মো. নাসির উদ্দিন (২০), মো. হৃদয় ওমর সাফি গন্ডার (২০), মো. রাজিব মিয়া (২৫), শাহনেওয়াজ ওরফে কালস্নু (২৮) ও তানজিলা (২৩)।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, পলস্নবীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ফয়সাল নামের একজন নিহতের ঘটনা তদন্তে জানা যায়, প্রথমে একই গ্রম্নপের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। গত ১৫ মার্চ পেপার সানী গ্রম্নপের সদস্য মো. শাহিন ও তার বোন তানজিলার সঙ্গে ফয়সাল ও রানা ওরফে রানুর মারামারির হয়।

পরে পেপার সানী গ্রম্নপের সদস্য শাহিন ওরফে নাডা শাহিন প্রতিশোধ নিতে সায়মুন গ্রম্নপের রাব্বী ওরফে গালকাটা রাব্বীকে জানায়। পর দিন ফয়সাল ও তার বন্ধু রানা আরও দুই বন্ধুসহ রিকশায় করে পলস্নবীর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার শেষে

বাসায় ফিরছিলেন।

ফেরার পথে চাপাতি, তলোয়ার, রামদা, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফয়সালকে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বন্ধু রানা ওরফে রানু আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

ডিবিপ্রধান বলেন, এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

তিনি আরও বলেন, মিরপুর এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা প্রায়ই মাদক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটায়। একই ঘটনা উত্তরায়ও ঘটেছে। উত্তরা এলাকায় বেশ কিছু বড় ভাইদের নাম পেয়েছি যারা কিশোর গ্যাং গ্রম্নপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মিরপুর ও উত্তরার পাশাপাশি মোহাম্মদপুরেও বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং গ্রম্নপ সক্রিয় রয়েছে। রাজধানীর কোনো এলাকায় বড় ভাইদের বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। কোনো বড় ভাইয়ের নামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে।

ফয়সাল হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রাশেদ হাসান।

তিনি বলেন, পলস্নবী এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। এ ঘটনা ছাড়াও অতীতেও কিশোর গ্যাং সদস্যরা বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে। জড়িতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে