ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের তেজগাঁও থেকে এফডিসি গেট সংলগ্ন ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ডাউনর্ যাম্প চালু হয়েছে। বুধবার এটিকে চলাচলের জন্য উন্মোক্ত করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
১২ বছরেও লক্কড়-ঝক্কড় বাস বন্ধ না হওয়া নিয়ে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমি মন্ত্রী; আমি তো বাস ঠিক করব না। এই বাস বন্ধ করলে আপনারা (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন, জনগণকে কষ্ট দেয় (সরকার)। ১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অপবাদ কেন দিচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে একটু সময় দেন।
তিনি জানান, 'বিমানবন্দরের কাওলা থেকে, বনানী, ফার্মগেট, কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার,র্ যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এতে মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ।'
এ সময় অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত নয়। দিনরাত কাজ চলছে। আমরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করেছি। বিশ্ব পরিস্থিতিতেও কিছু জটিলতা আছে। যেসব দেশ এসব প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে কনকারেজের বিষয়ে আছে। ঘাটে ঘাটে তাদের কনকারেজ নিতে হয়। বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কিছু সমস্যা হয়। আমাদের অনাদর ও অনিচ্ছায় প্রকল্প দেরি হচ্ছে- এটা ঠিক নয়।'
প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে কোনো জটিলতা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ফান্ডিংয়ে জটিলতা থাকলে কাজগুলো হচ্ছে কী করে?'
রমজানে ঢাকায় যানজট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইফতারের পর তো যানজট থাকে না। রোজার মাসে কোনো কোনো সময় যানজট হয়, সবসময় থাকে না। যানজট নিরসনে আমাদের সব পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। আরও পাঁচটি মেট্রো লাইন বাকি আছে, দুটির কাজ চলমান। এগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে যানজট ধীরে ধীরে আরও কমে যাবে।'
এ সময় বিআরটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, যাদের কাজ দেওয়া হয়েছে তাদের গাফিলতির কারণে একটিমাত্র প্রকল্প বিলম্বিত। আশা করি, ডিসেম্বরের আগেই বিআরটিসির বিশেষায়িত বাস চলে আসবে। আর ডিসেম্বর থেকে বিআরটি প্রকল্প পুরোপুরি চালু হবে। এর উদ্বোধন করবেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই প্রকল্পের এফডিসি গেট সংলগ্ন ডাউনর্ যাম্প দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বলে জানান তিনি।
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুলস্নাহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।