আজকের যায়যায়দিন

কুমিলস্নার নাঙ্গলকোটের তেজেরবাজারে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচু্যতির ঘটনায় ৪ কিশোরকে চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করেছে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলো- উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের তেলীগ্রাম পূর্বপাড়ার কাজী আমির হোসেনের ছেলে কাজী সামির হোসেন (১৫), একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আল আমিন (১৬), আব্দুল হামিদের ছেলে সাকিবুল হাসান তাহিব (১৪) ও আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুলস্নাহ আল মামুন রিয়াদ (১৩)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদউলস্নাহ বাহার।

এদিকে আসন্ন ঈদে আতশবাজি কেনার টাকা জোগাতে রেলওয়ের পিসপেস্নট খুলে বিক্রি করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এসব কিশোর।

রাত নামলেই অপরাধীদের দখলে! / ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদউলস্নাহ বাহার আরও জানান, গত ১৭ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি নিয়ে রওনা হয়। পথিমধ্যে কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট উপজেলার তেজেরবাজার এলাকায় ঐ দুপুর পৌনে ২টায় ট্রেনটির ৯টি বগি লাইনচু্যত হয়। এতে রেলওয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হয়েছেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানা পুলিশ তদন্তে নামে। তেজেরবাজার এলাকার ভেঙ্গিরপুলে একটি কালো ব্যাগ পাওয়া যায়। ব্যাগের ভিতরে জন্মনিবন্ধন ও আইডি কার্ড পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে আমরা চৌদ্দগ্রাম থেকে চার কিশোরকে আটক করি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।

রেলওয়ের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মো. হাসান চৌধুরী বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা চার কিশোরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। যেহেতু তারা এখনো কিশোর, তাই তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে কিশোররা জানান, ঘটনার দিন তারা ভেঙ্গিরপুর এলাকায় রেলের ৩টি পিসপেস্নট খুলে নিয়ে যায়। কেন খোলা হয়েছে এর জবাবে কিশোরার জানায়, তারা এ পেস্নটগুলো বিক্রি করে সামনের ঈদের আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ করবে।