সোনারগাঁয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি, নিহত ৪
প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মসজিদের মাইকে 'ডাকাত পড়েছে' ঘোষণা দেওয়ার পর এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চার যুবক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা। গণপিটুনির ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ও পরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) বলেন, 'বাঘরি গ্রামের বিলে অপরিচিত ১০-১২ জন যুবককে একসঙ্গে দেখতে পায় এলাকার এক যুবক। বিষয়টি গ্রামে এসে জানালে মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়। এতে আরো তিন গ্রামের বাসিন্দা চারদিক থেকে বিলে অবস্থান করা যুবক দলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ডাকাত দল সন্দেহে যুবকদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো একজন মারা যান। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত একজনকে প্রথম ঢামেকে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।'
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, 'তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যক্তি তার নাম মো. আলী বলেছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করেছে যে, তারা ডাকাত দলের সদস্য। তারা আট-দশজন মিলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল? কিন্তু রমজান মাস হওয়ায় গ্রামের লোকজন তখন জেগে ছিল। ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাদের গণপিটুনি দেন।
নিহত আ. রহিম (৪৮) আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ঝাউকান্দী নিতাইটেক গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ও নবী হোসেন (৩৫) একই উপজেলার গোপালদী পৌরসভার জালাকান্দী গ্রামের মজিদের ছেলে। এ ছাড়া আহত মোহাম্মদ আলীও (৩৮) একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউলস্নাহ হতাহত ডাকাতদের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, 'আড়াইহাজার উপজেলার প্রায় সর্বত্র লোকজন নিজ উদ্যোগে পাহারা দেয়ার মাধ্যমে পুলিশকে সহযোগিতা করায় এবং পুলিশের তৎপরতায় এ এলাকার ডাকাতরা এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন পার্শ্ববর্তী উপজেলায় গিয়ে চুরি ডাকাতি করছে।