গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃতু্য হয়েছে।
নতুন করে মৃতরা হলেন জহিরুল ইসলাম (৩২), মোতালেব (৪৮), ৯ বছর বয়সি শিশু সোলায়মান এবং ১৩ বছরের কিশোর রাব্বি। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জনে। তাদের মধ্যে জহিরুল ৫৮ শতাংশ, মোতালেব ৯৫ শতাংশ, সোলায়মান ৮০ শতাংশ এবং রাব্বির দেহে ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল।
জহিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার আয়নাল ফকিরের ছেলে। মোতালেব টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শিশু সোলায়মান ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শফিকুল ইসলামের ছেলে। শিশুর রাব্বি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার মো. শাহ আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক (সার্জন) ডা. তারিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত শিশুসহ চারজনের মৃতু্য হয়েছে। তারা ৬৫-৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই ঘটনা এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ১০ জনের মৃতু্য হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইবা (৩), আরিফুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল (২৪), নার্গিস খাতুন (২২), মনসুর আলী ও সোলাইমান মোলস্না মারা যান।
এ হাসপাতালে ভর্তিকৃত ৩২ জনের মধ্যে এ যাবৎ ১০ জন মারা গেছেন, তিনজন চিকিৎসার পর ছুটি নিয়ে গেছেন। বর্তমানে ১৯ জন ভর্তি রয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৩৬ জন দগ্ধ হন।