ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বা অন্য কোনো বিদেশি ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে পারেন না বলে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি পিটার হাস বলেছেন, 'ড. ইউনূস এবং তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ মামলাগুলো বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।'
পিটার হাসের এ বক্তব্য আদালত অবমাননা উলেস্নখ করে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তখন হাইকোর্ট তার কাছে জানতে চান, কোনো রাষ্ট্রদূত যদি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেন সেক্ষেত্রে আদালত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে কি না?
তখন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত কোনো রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিকের বিরুদ্ধে কনটেম্পট প্রসিডিং ড্র করতে পারেন না এবং তলব করতে পারেন না। তবে পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন। এরপর আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকা উচিত।