আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না
'ইফতার পার্টিতে গিয়েও আ'লীগের গিবত গায়' 'বিএনপি গণতন্ত্র বানান করতে পারে? আমার প্রশ্ন' 'তৃণমূলে পৌঁছাচ্ছে মৌলিক সুবিধা'
প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকে, যার জন্য জনগণ তাদের বারবার ভোট দেন মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'দেশবাসী তাদের পক্ষে রয়েছেন, কাজেই তার সরকারের পতন ঘটানো এবং দেশকে আবার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হবে না। তারা (বিএনপি-জামায়াত) আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচু্যত করার স্বপ্ন দেখছে। তারা কীভাবে ভুলে যায় যে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকে।'
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে সোমবার তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, 'এই দাবির পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তারা কোন সাহসে সেটা চায়? কারণ ২০০৮ সালের নির্বাচনে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারই ছিল। খালেদা জিয়াও সুস্থ ছিলেন, যদিও রাজনীতি করবে না বলে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে হাওয়া ভবনের খাওয়া খেয়ে লন্ডনে তো তখন তারও রমরমা অবস্থা। কিন্তু সে সময়েও তারা আসন পেয়েছিল ৩০টি, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি আসন। এটাও তো তাদের মনে রাখা উচিত। কাজেই কিসের আশায় তারা চায়, বুঝতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ দেশের গরিবের পেটে ভাত থাকে, গরিবের মাথা গোজার ঠাঁই হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় একজন মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবেন না। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন যে থাকবে না, আমরা সেটারই বাস্তবায়ন ঘটিয়ে যাচ্ছি, আর সেটাই ওদের সহ্য হয় না। সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ ভালো থাকলে সেটা তাদের পছন্দ হয় না। কাজেই তারা যা চায়, সেটা ইলেকশনের জন্য নয়, বাংলাদেশকে আবার অন্ধকার যুগে ঠেলে দেওয়ার জন্য। কাজেই এই দেশকে আর কখনো অন্ধকার যুগে ফেলে দিতে পারবে না। কারণ এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ। মুজিব জন্মগ্রহণ করেছেন এই দেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তার আদর্শ ধারণ করেই আমরা সেটা করে যাব, ইনশা আলস্নাহ।'
বিএনপি গণতন্ত্র বানান করতে পারে? আমার প্রশ্ন
শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির পিতাকে হত্যার পর নিজেই নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের সৃষ্টি, কোন গণতান্ত্রিক ধারা দিয়ে সে দল তৈরি হয়েছে? এটা কোনো গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের হাত দিয়ে হয়েছে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবার গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে? গণতন্ত্রের অর্থ বোঝে? গণতন্ত্র বানান করতে পারে? সেটাই আমার প্রশ্ন। আপনারা জিজ্ঞেস করেন গণতন্ত্র বানান করতে পারি কি না। সেটাও তারা বুঝবে না। তারা তোতা পাখির মতো বলে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। এ দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র চর্চা করে আওয়ামী লীগ নিজের দলের ভেতরে এবং দেশেও। আজ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে বলেই কথা বলতে পারে।'
তিনি বলেন, 'এই যে এতগুলো টেলিভিশন কে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার। গণতন্ত্রের কথা বলে তারা তো দেয়নি, একটাই টেলিভিশন ছিল, একটাই রেডিও ছিল, তারা নিজেরাই ব্যবহার করত। নামমাত্র কয়েকটা পত্রিকা ছিল। আর আজ হাজার হাজার পত্রিকা। প্রায় অর্ধশত টেলিভিশন, রেডিও আমাদের হয়ে গেছে। যার যার ইচ্ছামতো টকশো করছে কথা বলে যাচ্ছে। সব কথা বলে যদি বলে যে কথা বলতে পারি না, তাহলে কোথায় যাব আমরা?'
শেখ হাসিনা বলেন, '২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের দিন থেকে আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার, যে নির্যাতন করছে, সে কথা মানুষ ভুলবে কী করে। জিয়াউর রহমানের দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার, তার আগে আইয়ুব খানের আমল থেকে নির্যাতন। এমনকি লিয়াকত আলীর সময়ও কেউ রেহাই পায়নি। আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই বারবার নির্যাতন। আজ দেশে মানুষ যদি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগের হাত থেকেই পেয়েছে। স্বাধীনতা পেয়েছে, গণতন্ত্র পেয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি যেখানে ডাল-ভাতের ওয়াদা করে ব্যর্থ হয়েছিল, এরপর একজন এসে আলু খেতে বলল, ভাতের পরিবর্তে আলু, আলু উৎপাদন সেভাবে করতে পারেনি। সেখানে আওয়ামী লীগের আমলে অন্তত ভাতের কষ্ট নেই। এটা আমরা বলতে পারি। এখন জিনিসের দাম নিয়ে মানুষ বলছে, মুরগির দাম বাড়ল কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেন, চিনির দাম বাড়ল কেন, তেলের দাম বাড়ল কেন? একসময় দেশের মানুষ নুন-ভাতের কথাই চিন্তা করত। সেটুকু জোগাড় করতে পারত না। সেই অবস্থা আওয়ামী লীগ পরিবর্তন করতে পেরেছে।'
তিনি আরও বলেন, আজ খাদ্যশস্য, দানাদার শস্য আমরা চারগুণ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। আজ আমরা ইলিশ মাছের উৎপাদন আড়াই গুণ বৃদ্ধি করেছি, আমাদের গবাদিপশু সেটাও দুই গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। মুরগি, পোলট্রি চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দুধের উৎপাদন। প্রত্যেকটা জিনিসের উৎপাদন আমরা বৃদ্ধি করেছি। মাংসের দাম বেড়ে গেছে, তবে আট গুণ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে।
ইফতারি খায়, আর গিবত গায়
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'বিএনপি রমজান মাসে গরিব মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ না করে সরকারের সমালোচনা করে। নিজেরা ইফতারি খায়, আর আওয়ামী লীগের গিবত গায়। আর কবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে, সেটাই দেখে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং এর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ইফতার পার্টি না করে সারা দেশে গরিবদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করছেন। দেশবাসীও আওয়ামী লীগকে বারবার সমর্থন করেছেন। কারণ তারা তাদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে সব সময় পাশে পেয়েছেন।'
তিনি বলেন, 'এই রমজান মাসে আমি সবাইকে বলব, আপনাদের আশপাশে যারা দরিদ্র সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের সহযোগিতা করুন। আমরা যেমন ইফতারি বণ্টন করছি, তাদের সহযোগিতা করছি, আপনাদেরকেও সেটা করতে হবে।'
সংযমের এই মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যস্ফীতিতে দেশের সাধারণ জনগণের পাশে না দাঁড়ানোয় বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তারা ইফতার পার্টি করে করুক, কিন্তু আপনারা দেখাবেন যে মানুষের পাশে আছেন। আর এই কারণেই তো মানুষ আমাদের ভোট দেন। বাংলাদেশের মানুষ যে বারবার আমাদের ভোট দেন, সেটা তো এই কারণেই।'
তৃণমূলে পৌঁছাচ্ছে মৌলিক সুবিধা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগে রাস্তাঘাটে হাড্ডি-কঙ্কালসার মানুষ দেখা যেত; কিন্তু আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরে টানা চার মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগে এখন আর সে অবস্থা নেই। যেখানে মানুষের পরিধেয় বস্ত্রের ঠিক ছিল না, সেখানে এখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ সব ধরনের মৌলিক এবং নাগরিক সুবিধাগুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হাতের নাগালে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। কাজেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করি এবং সেই ভাগ্য পরিবর্তন একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষ পর্যন্ত।
শেখ হাসিনা বলেন, 'ধনদৌলত ও সম্পদ কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। কাজেই এর জন্য মারামারি কাটাকাটি কেন? এগুলো তো ফেলে রেখেই চলে যেতে হয়। কাজেই এগুলো যতটা মানুষকে দিয়ে দেওয়া যায় এবং মানুষের কল্যাণ করা যায়, সেটুকুই সঙ্গে থাকে। এটাই সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।'
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা আলোচনায় অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হলে সৎ হতে হবে: কাদের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার শতভাগ পরীক্ষিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তাদের পরীক্ষা করে কোনো লাভ নেই। আজকের রাজনৈতিক কর্মীরা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেন না, সততা মানেন না, নির্দেশনা মানেন না, জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক! এই দাবি কেন করেন? সৈনিক হলে চরিত্রবান হতে হবে, সৎ হতে হবে।'
দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইশারা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের নেত্রী কেমন জীবনযাপন করেন, আপনারা কি দেখেন না? গণভবনে থাকেন রাত ২টায়, আপনি ফোন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পান, এটা অবাক বিষয়। তিন থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় দেশের কথা ভাবেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা। এ দেশে দুজন মানুষ মৃতু্যর পরও বেঁচে থাকবেন। একজন বঙ্গবন্ধু, আরেকজন শেখ হাসিনা।'
তিনি বলেন, '৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার লাশ সিঁড়িতে পড়েছিল। গোপালগঞ্জে নিয়ে ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড় বঙ্গবন্ধুর দাফনে ব্যবহৃত হয়েছে। ১৮-১৯ জন লোককে জানাজা পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা ভেবেছিল ঢাকা থেকে দূরে টুঙ্গিপাড়ায়, সেই অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুকে মাটিচাপা দিলে বাংলাদেশ ভুলে যাবে। তাদের হিসাবের অঙ্ক কত যে ভুল, আজ টুঙ্গিপাড়া বাঙালির তীর্থখ্যাত, ৩২ নম্বরে জনতার ঢল নামে। শুধু ১৭ মার্চ নয়, প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুর নামে সারা বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ।'
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বঙ্গবন্ধু আজ জাতির পিতা। আমরা কী শিখব তার কাছে? আমাদের রাজনীতি, আমরা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করব? রাজনীতিতে যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা কীভাবে অর্জন করব। আমি বলব, এ দেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা, সাহস রাজনীতির প্রধান দু'টি গুণ। সততা শিখবেন, সাহস জানবেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের দিকে তাকান, বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকান, শেখ হাসিনার দিকে তাকান, শেখ রেহানার দিকে তাকান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকে তাকান, সায়েমা ওয়াজেদের দিকে তাকান।'
একটি পরিবার ক্ষমতার গত ১৫ বছরেও কোনো বিকল্প সেন্টার কেউ করেনি উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'এখানে হাওয়া ভবন নেই, এই দেশে কোনো হাওয়া ভবন নেই। ১৫ বছরেও অলটারনেটিভ পাওয়ার সেন্টার এ দেশে কেউ করেনি। লেখাপড়া করেছেন অক্সফোর্ড, হারবার্ডে। এই পরিবারের সন্তানেরা মেধাবী। যে যেখানে আছে, সেখানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেধা দিয়ে, গায়ের জোরে নয়, লুটপাট করে নয়, দখল করে নয়, অর্থ পাচার করে নয়। এই পরিবার সততার প্রতীক। প্রত্যেকেই সততার আদর্শে উজ্জীবিত।'
বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসার রাজনীতির স্রষ্টা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তার উত্তরাধিকার আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা তা বহন করে চলেছেন। ৭৫-এর পর এই পরিবারকে কলঙ্কিত করা, এই পরিবারের চরিত্র হননের অনেক অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে অনেকেই করেছে। নিষিদ্ধ করেছে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতা দিবসে, বিজয় দিবসে। বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আছে।'
অনুষ্ঠানে একুশে পদক বিজয়ী আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত 'কারাগারের রোজনামচা' থেকে কিছু লাইন এবং বিশিষ্ট কবি সৈয়দ শামসুল হকের 'আমার পরিচয়' কবিতাটি আবৃত্তি করেন। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি ও শেখ বজলুর রহমানও আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং দলের উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।