বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৃষ্টির সুফল নেই ঢাকার বাতাসে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বৃষ্টির সুফল নেই ঢাকার বাতাসে

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শনিবার সন্ধ্যায় এবং রাত প্রায় ১২টার দিকে দুই দফায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এর পরিমাণ ছিল ২ মিলিমিটার। বৃষ্টি হলে ঢাকার বায়ুর মান ভালো হয়। রোববার ছিল আবার জাতীয় ছুটিরও দিন। তারপর এদিন সকালে বিশ্বের ১১৯টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে সকাল ৯টার দিকে ঢাকার স্কোর ১৬০। বায়ুর এ মান অস্বাস্থ্যকর হিসাবে ধরা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণের স্থানীয় উৎসগুলোর মধ্যে আছে যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের দূষণ, আশপাশের ইটভাটার

ধোঁয়া ইত্যাদি। ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহনের চলাচল কম থাকে, কলকারখানাও কম চালু থাকে। এরপরও আজ দূষণ পরিস্থিতি নাজুক।

বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক আইকিউএয়ারের সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

রোববার সকালে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিলিস্ন। শহর দুটির স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৫৪ ও ২৪৮।

আইকিউএয়ারের মানদন্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে 'মাঝারি' বা 'গ্রহণযোগ্য' মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা 'অস্বাস্থ্যকর' বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে 'দুর্যোগপূর্ণ' বা 'ঝুঁকিপূর্ণ' ধরা হয়।

আইকিউএয়ারের দেওয়া রোববারের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। এদিন ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মানদন্ডের চেয়ে ১৬ গুণের বেশি।

ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাসার বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরের জানালা বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা মানুষ। তাদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে