সীমান্তজুড়ে এখন সুনসান নীরবতা
প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:১৬
আবদুল হামিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমারের সীমান্ত জুড়ে এখন সুনসান নীরবতা। নেই কোনো গোলাবারুদের শব্দ। গত এক সপ্তাহে কোনো ধরনের বিকট শব্দ ভেসে আসেনি সীমান্তের ওপার থেকে এপারে। সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও কাটেনি আতঙ্ক।
বুধবার ভোর থেকে এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত ঘুমধুম থেকে জামছড়ির কোনো সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে কোনো ধরনের বিস্ফোরণের আওয়াজ আসেনি মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে।
তবে সীমান্তে বসবাসকারী এক প্রবীণ মুরব্বি জানান, সম্প্রতি চলে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন অসংখ্য। তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে চলা
সংঘর্ষে তারুণ্যে ভরা বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মির কাছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড বিজিপির ৬২ কিলোমিটার সীমান্তের যত অবজারভেশন পোস্ট ছিল তার সবগুলো দখলে নিয়েছে আরকান আর্মি নামক বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই গ্রম্নপটি। সে কারণে হয়তো মিয়ানমার সেনাবাহিনী খুইয়ে যাওয়া অবজারভেশন পোস্টগুলো পূর্ণ উদ্ধারে হামলা, অভিযান, ভারী অস্ত্র ব্যবহারের গতি বাড়াতেও পারে।
ঘুমধুমের ইউপি সদস্য মো. আলম বলেন, সকাল থেকে সন্ধ?্যা পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি খুব ভালো। কোনো ধরনের শব্দ তার কানে আসেনি।
জামছড়ির রহমত, চাকঢালার মির আহাম্মদ, তমব্রম্নর সরোয়ার বলেন, সারাদিন শান্ত ছিল আমাদের বর্ডার সাইট, আলস্নাহর কাছে বতর্মান পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আগের মতো স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক সে প্রার্থনা আমাদের।
অপরদিকে মিয়ানমারের বিজিপির আশ্রয় নেওয়া ১৭৭ সদস্যকে কবে নাগাদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের ডাটা এন্ট্রি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজিবির একাধিক সূত্র মতে জানা যায়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানোর কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদবি অনুযায়ী লিপিবদ্ধকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো। জনসাধারণ নিরাপদে রয়েছে।