বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সমাজে বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে এসব সংকটের সমাধান প্রয়োজন।
শুক্রবার বিকালে শেরাটন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের দেওয়া ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
গাজায় মর্মস্পর্শী দুঃখজনক ঘটনা ঘটে চলেছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, দীর্ঘ বিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ, নারী, শিশু হতাহতের শিকার হচ্ছে। তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা ও অসহায়-অনিশ্চিত জীবনের হৃদয়বিদারক ঘটনার ছবি ও বর্ণনা প্রতিদিন প্রকাশিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক জাতিগত সহিংসতার ফলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে আনুমানিক ৭ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের জীবন অসম্মানজনক ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ক্ষুধা, দরিদ্রতা ও অপুষ্টিতে অগণিত মানুষ আজ দিশেহারা। বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে। হিংসা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা, অসহনশীলতা, অন্যায্যতা, অমানবিকতায়পূর্ণ আমাদের বিশ্ব ব্যবস্থা।
মানুষ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, জেনেভা ঘোষণা অনুযায়ী, সশস্ত্র সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে প্রতি বছর ৫,২৬,০০০ লাখের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে না, লাখ লাখ মানুষ আজ বছরের পর বছর নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশান্তরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সিঙ্গাপুরের কনসু্যল শিলা পিলস্নাই, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ডেপুটি কাউন্সিলর (পলিটিক্স অ্যান্ড ইকোনমি) আরতুরো হাইন্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেপুটি রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পেনিয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল ওল্ডস, ডেপুটি চিফ অব পার্টি লেসলি রিচার্ডস, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর ইরোজ রাব্বানী, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।