বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপপ্রচার আর মিথ্যার পুরনো কাসুন্দি নিরন্তরভাবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ সরকার। নিজ দলের লুটপাট, সম্পদ পাচার, দখল, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আওয়ামী নেতাদের গল্প যে 'আলিফ লায়লা'র গল্পকেও হার মানাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে ডামি সরকার নতুন দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশ ও দেশের জনগণকে মহাসংকটে ফেলে একটি মাস্টারপস্ন্যান বাস্তবায়ন করছে। সেটি হলো বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। তিনি বলেন, সরকার আবারও টার্গেট করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারকে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে বা কব্জায় নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের গোলকধাঁধায় শুরু করেছে প্রোপাগান্ডা।
কিছু গণমাধ্যমের চৈতন্য লোপ পেয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, 'বিস্ময়কর বিষয় হলো- এদেশের স্বাধীন সাংবাদিকতাকে মুছে দিতে শেখ হাসিনার ক্রুদ্ধ হুংকারে ভয়ের যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে মনে হয় কিছু গণমাধ্যমের চৈতন্য লোপ পেয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সত্যাসত্য বিবেচনায় না এনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা না করে শুধু শেখ হাসিনার মনতুষ্টির জন্য বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করা যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) একটি দৈনিকের অনলাইনের এহেন রিপোর্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হুকুমে করা হয়েছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। কিন্তু এখানে প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয়নি।'
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এরা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর দেশ ও দেশের জনগণকে মহাসংকটে ফেলে একটি মাস্টারপস্ন্যান বাস্তবায়ন করছে। সেটি হলো বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা। আর তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে, উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে জীবন বিপন্ন করার পাশাপাশি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কুৎসা রটিয়ে তার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।'
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ডামি সরকার গৃহস্থের বদলে চোরের পাহারায় অধিক ব্যস্ত। কই এগুলো নিয়ে প্রতিবেদন করতে তো কোনো সংবাদপত্রকে সাহসী হতে দেখি না। আওয়ামী লীগ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, বরং ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটি নিশ্চয়ই সংবাদপত্রগুলোর মনে থাকার কথা। সুতরাং এখন যারা শেখ হাসিনার নব্য বাকশালের রুদ্র শাসনের মুখপাত্র হয়েছেন, ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না।
আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আপনি যতই চিৎকার করেন, দেশবাসীর কাছে এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে।