খাতুনগঞ্জে ১৪৫০ টাকার এলাচ ৩১শ' টাকায় বিক্রি

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এক হাজার ৪৫০ টাকার এলাচ খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছিল তিন হাজার ১০০ টাকায়। এই অপরাধে এক আমদানিকারককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চিনি কেনার রশিদ দেখাতে না পারায় দুটি প্রতিষ্ঠান ৬০ হাজারসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার দুপুরে দেশের অন্যতম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় চট্টগ্রামের অন্যতম বড় পাইকারি চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার, নাবিল গ্রম্নপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি কেনা দামের দ্বিগুণের বেশি বিক্রি করায় এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এ বি ট্রেডার্সকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন, প্রকার অনুযায়ী ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকার বেশি এলাচ বিক্রি করবেন না নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, 'কয়েকদিন আগে এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকান্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি পাঁচ-সাত টাকা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে স্থিতিশীল আছে। রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটোই স্থিতিশীল থাকে, সেজন্য রোববার অভিযান চালানো হয়েছে। চিনি বিক্রয়কারী দুটি প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রম্নপের কাছে কেনার রশিদ ছিল না। এ কারণে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমরা জানতে পারছি না। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলছেন। এজন্য সতর্কতামূলক দুটি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৩০ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'অভিযানে এ বি ট্রেডার্সের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচসহ ১৪৫০ টাকা পড়েছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ লাভ করলে দাম ১৬০০-১৭০০ টাকায় থাকার কথা। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি করেছিল ৩১০০ টাকায়। এ কারণে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন, প্রকার অনুযায়ী ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকার বেশি এলাচ বিক্রি করবেন না।'