বৈষম্যমূলক নবম পে-স্কেল ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবি

১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৈষম্যমূলক নবম পে-স্কেল ঘোষণা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখাসহ ৬ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম। শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এবং সভাপতিত্ব করেন লুৎফর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আবুল হোসেন, মো. মোফাজ্জল হোসেন ও আসাদুজ্জামান পান্না, যুগ্ম সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভাগীয় ও জেলার নেতারা। লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। ২০১৫ সালে প্রদত্ত ৮ম পে-স্কেল এরই মধ্যে প্রায় ৯ বছর পূর্ণ করেছে। সব সময়ই সরকার কোনো পে-স্কেল ৪ বছর পূর্ণ হলেই মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করে থাকে। এখন পর্যন্ত তাও দিচ্ছে না। ৮ম পে-স্কেল ঘোষণার সময় স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা ছিল। তাও অদ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি এবং বাজার প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন যে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে তাও মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ৫ শতাংশ বহাল আছে। বর্তমান মাসিক বেতন ভাতা দিয়ে কোনো কর্মচারী ১০ দিনের বেশি চলতে পারে না। তাই অতি দ্রম্নত পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানোর দাবি জানান। এ সময় তিনি ৬ দফা দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও ৬৪ জেলার প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন। ৬ দফা দাবিসমূহ : ১। পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করতে হবে। ২। যেসব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। ৩। টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, বস্নক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ সব পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। ৪। বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সব ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্যমূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। ৫। সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরন অনুযায়ী পদ, নাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। ৬। সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।