নির্বাচন নিয়ে কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'কোনো কোনো দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বলল তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করব।'
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সময় বিদেশিদের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে করে আপনারা সাংবাদিকরা তা জানেন। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যিনি পারবেন নির্বাচন করবেন। আমি মনে করি, যারা বলেন আমাদের দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তাদের দেশে কতটুকু রয়েছে সেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে।'
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, 'বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে পড়েছে। তারা জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা সব সময় চিন্তা করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। তাদের যে নেতা সে ইংল্যান্ডে থেকে দিকনির্দেশনা দেয়। তাদের নেতাকর্মীদের কী হবে সেটিও তারা চিন্তা করে না। তাদের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাট বিভেদ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, যদি এই ভুল উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বলে আমার মনে হয় না।'
এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ বিপস্নব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুলস্নাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জুসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।