অপরিশোধিত চিনির ৮০ শতাংশ রক্ষা, দাবি ফায়ার সার্ভিস ডিজির
৬৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এস আলমের গুদামের আগুন
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দীর্ঘ ৬৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন। বৃহস্পতিবার ভোরে কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, 'সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় এখনো হালকা আগুন দেখা যাচ্ছে। আগুন দেরিতে নিয়ন্ত্রণে আসার কারণ হলো, যে কাঁচামালগুলো ছিল সেগুলো দাহ্য। পানি দেওয়ার পর আবার জ্বলে ওঠে। কারখানাটিতে এক লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। আমরা তার ৮০ শতাংশ রক্ষা করতে পেরেছি।'
এদিকে অগ্নিকান্ডে ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য আহত হয়েছেন উলেস্নখ করে তিনি জানান, ঘটনা তদন্তেত্ম পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এস আলম গ্রম্নপের জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হাসান বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিনির যে কাঁচামাল রক্ষা করা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তা ব্যবহার করা হবে।'
এই কর্মকর্তা জানান, পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।
গত ৪ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে দুটি পস্ন্যান্টে পরিশোধন করা হয়। তার মধ্যে পস্ন্যান্ট-১-এর দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা ৯০০ টন আর পস্ন্যান্ট-২-এর দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা এক হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হয়।