কর্ণফুলী গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী ও প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা হোসেন চৌধুরীর দশম মৃতু্যবার্ষিকী আজ। শুক্রবার সরকারি বন্ধের দিন হওয়ায় মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর কর্ণফুলী গ্রম্নপের কাকরাইলস্থ এইচ আর ভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তার পরিবারবর্গ ও ঘনিষ্ঠজনরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করেন।
দোয়া মাহফিলে মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর সুন্দর পারলৌকিক জীবন কামনার পাশাপাশি তার প্রয়াত স্বামী হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর জন্য বেহেশত কামনা করা হয়। এছাড়া মরহুমার তিন সন্তানসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের সুন্দর জীবন পরিচালনায় মহান আলস্নাহর দরবারে দোয়া চাওয়া হয়। বিশেষ দোয়ায় অনলাইনে যুক্ত হন ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুর সোয়া ২টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মরহুমা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ও ঢাকা-৯ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং এইচআরসি ও কর্ণফুলী পরিবারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকার নয়াপল্টন কালভার্ট রোড মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি তওহীদুল ইসলাম। মোনাজাতে ইমাম মরহুমার বেহেশত কামনা করে বলেন, 'রত্নাগর্ভা রাশিদা হোসেন চৌধুরীর তিন সন্তান দেশ ও বিদেশে মানুষের কল্যাণে নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা নানাভাবে দেশের সেবা করছেন এবং দেশের মুখ সর্বত্র উজ্জ্বল করছেন। তার তিন সন্তানের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ কাজ করছেন। যারা দেশ এবং দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। সকলের দোয়ায় মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামিন তাকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন।' এ সময় মরহুমার পরিবারবর্গের তরফ থেকে দেশ ও জাতির শান্তি এবং সমৃদ্ধিও কামনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ বিশিষ্ট সমাজসেবিকা ও শিক্ষানুরাগী রাশিদা হোসেন চৌধুরী আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং লাখো অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তিনি ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর আলহাজ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মাতা ফাতেমা খাতুন চৌধুরানী। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তার বড় ভাই আলহাজ একেএম ফজলুল কবীর চৌধুরী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা, দ্বিতীয় ভাই একেএম ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার ছিলেন। রাশিদা হোসেন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাঈদ হোসেন চৌধুরী এইচআরসি শিল্প পরিবারের চেয়ারম্যান এবং দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক। তার দ্বিতীয় পুত্র সাদেক হোসেন চৌধুরী মাল্টিড্রাইভ গ্রম্নপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।