'আজকে সন্ত্রাসীর সেই জুজুর ভয় দেখিয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে ভাঁওতাবাজি দিয়ে তাদের প্রতারিত করা যাবে, সেটা সম্ভব নয়। গত ৭ জানুয়ারি সেটা প্রমাণ হয়েছে।'
বুধবার রাজধানীর বানানীতে কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
মেজর হাফিজকে কারাগারে পাঠানো প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, এ জাতির যে অবক্ষয় আমি মনে করি, আজকে এ সরকারের কর্মকান্ডের মাধ্যমে অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে মঙ্গলবার। দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং এর নিন্দা জানানোর কোনোরকম ভাষা আমাদের জানা নেই। শুধু এ কথাই বলতে পারি, সরকার আক্রোশ বা প্রতিহিংসার বসে এসব করছে।
এর মধ্যে দিয়ে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে দেওয়া সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদলীয় সরকার আজকে এখানে আছে। আর এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোথায় নামতে পারে তার প্রমাণ মঙ্গলবার হয়েছে। তারা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে একটা মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এর পিছনে পর্দার অন্তরালে সরকারের যে চাপ, বিভিন্নরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার একটা ছলনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শুধু রাজনীতি নয় অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, পুলিশ প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনসহ সবকিছু এ প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র উপায়, সেটা হলো- আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।
মেজর হাফিজের মামলা প্রসঙ্গে তার স্ত্রী দিলারা হাফিজ বলেন, এটার একেবারেই ভিত্তি নেই। সাক্ষীদের কোনো পাত্তা নেই। আলামতও ছিল না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার স্বামীর এখন বয়স চলছে ৭৯ পস্নাস। বয়স্ক মানুষ। সম্প্রতি উনার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া মঙ্গলবার উনাকে পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) ভর্তির অনুমতি দিয়েছে।
পরে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে দেখতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় তার বাসায় যান আবদুল মঈন খান।