সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১
রোজায় কৃত্রিম সংকট

সিলেটে তরল দুধের লাভ খাচ্ছে সিন্ডিকেট

কাইয়ুম উলস্নাস, সিলেট
  ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
সিলেটে তরল দুধের লাভ খাচ্ছে সিন্ডিকেট

দুই মাস আগেও প্রাণের তরল দুধে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই লাভ ছিল। কিন্তু রোজায় তরল দুধের বিশাল চাহিদা থাকে সিলেটে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার লাভ হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু একটি সিন্ডিকেট।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রাণের ৫০০ গ্রামের তরল দুধের ১৬ পিসের কার্টুনের সঙ্গে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দুই পিস ফ্রি পেতেন। এর ফলে একজন ক্রেতার কাছে ৮০০ টাকার কার্টুন ৭৬০ টাকায় বিক্রি করতে পারতেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়ত। তরল দুধ কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতা দুইয়েরই লাভ হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে ব্যবসায়ীরা তরল দুধের বড় বড় চালানের অর্ডার কেটে বসে আছেন, কিন্তু রোজার দুধ দিচ্ছে না প্রাণের কোম্পানি। অর্ডারের অর্ধেক দুধ দিলেও ১৬ পিসের কার্টুনের ফ্রি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে খুচরা বাজারে তরল দুধের দামও বাড়বে, কৃত্রিম সংকটও তৈরি হয়ে গেছে। যা উসকে দিচ্ছে দুধের ডিলার সিন্ডিকেটকে। দুধ না পেয়ে বিড়ম্বনায় পড়বেন সিলেটের ক্রেতা সাধারণ।

নগরীর কালিঘাটের ক্রেতা রুস্তম আলী বলেন, 'রমজানে সিলেটের লোকেরা সেহরিতে দুধভাত কলা দিয়ে খায়। এছাড়াও দুধ একটু বেশি লাগে। সিলেটে দুধের এই চাহিদা কাজে লাগায় সিন্ডিকেট। প্রতিবছর রোজার পনেরো দিন আগে থেকে বাজারে তরল দুধের সংকট তৈরি হয়। আমরা মনে করি, এটা কৃত্রিম সংকট। কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।'

ব্রহ্মময়ী বাজারের নিয়মিত ক্রেতা মোমিন মিয়া বলেন, 'রোজা আসতেই সিলেটের বাজারে দুধ গায়েব হয়ে যায়। পরে দাম বাড়িয়ে ধীরে ধীরে দুধ ছাড়ে। বাজারের এই সব কারসাজি বন্ধ করতে হবে।'

মহাজনপট্টীর আমজাদ আলী রোডের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের বলেন, 'রোজার চাহিদা অনুযায়ী তরল দুধ পাইনি। কোম্পানির লোকেরা বলছে, মাল নাই। তাছাড়া ১৬ পিসের ৫০০ গ্রামের কার্টুনে কোনো ফ্রি পাইনি।'

এ বিষয়ে জানতে প্রাণের তরল দুধের কালিঘাটের বিক্রয় প্রতিনিধি পারভেজ খান বলেন, 'রোজা উপলক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তরল দুধ কোম্পানিকে দিতে বলেছিলাম। আমরা এই টাকাটাও কোম্পানিকে এডভান্স দিয়েছি। কিন্তু কোম্পানি পুরো অর্ডারের দুধ দিতে পারেনি। তাদের দাবি, উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি।'

\হভোক্তা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, 'রমজানকে উপলক্ষ করে কোনো বিশেষ পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে আমাদের বিশেষ নজরদারি আছে। আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে