বর্তমান সরকারকে জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করতেই হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেছেন, আজ হোক, কাল হোক তাদের (আওয়ামী লীগ) নতি স্বীকার করতেই হবে।
তারা যদি মনে করে, বুলেটের জোরে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে তারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর আমরা পেরোতে চলেছি। কিন্তু আজকের সোনার বাংলা যে ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। ডামি সোনার বাংলা কথাটি আমাদের নয়, যারা আজকে সরকার চালাচ্ছেন, তারাই এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ডামি সোনার বাংলা হলো, আসল সোনার বদলে নকল সোনা। খুব সাধারণ বাংলায় বললে, সোনার বাংলা আজ পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষ। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কি জবাব দেব? যে সোনার বাংলার কথা আওয়ামী লীগ সরকার বলে থাকে, তারা কি করে? এই বাংলাদেশের জন্য কি লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে এই সরকার বলে তারা নাকি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। স্বাধীনতার চেতনা কি গণতন্ত্র ছিল না? আওয়ামী লীগকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। মুখে গণতন্ত্র, সোনার বাংলার কথা বলে, কার্যক্ষেত্রে যদি এর উল্টোটা করে, আওয়ামী লীগ যদি মনে করে তারা ক্ষমতার জোরে সবকিছু অস্বীকার করে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেটা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সরকারকে এই সত্য স্বীকার করতেই হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুলস্নাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, জাতীয় আইনজীবী জোটের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কেএম জামিল, জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসএম আনোয়ার হোসেন, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক জোটের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এএসএম শামসুল আলম নিক্সন প্রমুখ।