পুড়ে মারা গেল মেহেদী ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরল বড় ভাই ইসরাফিল

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডে মারা গেছেন টাঙ্গাইল মির্জাপুরের মেহেদী হাসান (২৬)। ছোট ভাই মেহেদী চোখের সামনে পুড়ে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছেন বড় ভাই ইসরাফিল (৩০)। তারা দুইভাই ওই ভবনের একটি জুসের দোকানে চাকরি করতেন। মেহেদী ও ইসরাফিল মির্জাপুর উপজেলার ৫ নম্বর বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে আইন উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় মেহেদীর লাশ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে গ্রামের বাতাস। বাদজুমা দেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মেহেদীর বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, 'ভাই গতকাল ফোন দিয়ে বলছে তুমি বাবার বাড়ি যাও, আমি আসবো। আমার সেই ভাই আর এলো না। আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতেন। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে সংসার চলত। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পেত। আজ ভাইটির আসার কথা ছিল। সে আসলো ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে। এমনভাবে তার আসার কথা ছিল না।' উপজেলার দেওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা টিপু মাহমুদ জানান, 'দরিদ্র পরিবারের অন্ন জোগাতে দুই ভাই মেহেদী হাসান ও ইসরাফিল বেইলি রোডের ওই ভবনের একটি জুসের দোকানে চাকরি করত। বৃহস্পতিবার রাতে যখন ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয় দুই ভাই একসঙ্গে ছিল। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে বড় ভাই ইসরাফিল দৌড়ে ভবনের উপরে উঠে যেতে পারলেও ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাঁচতে পারেনি। সে আগুনে পুড়ে মারা যায়। তার মৃতু্যতে পুরোপরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলো।' মেহেদী হাসানের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিরা বিনতে মতিন। তারা মেহেদী হাসানের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।