ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ের উপর বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার হাসপাতালের নিজস্ব ভবনে বিশেষ এই স্বাস্থ্য সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের বর্তমান চিত্র ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার সম্পর্কিত বিশেষ আলোচনা করেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অবস্টিক এন্ড গাইনোকোলজি রিপ্রোডাক্টিভ বায়োলজির অধ্যাপক ডা. অ্যানিক্যাথ্রিন গুডম্যান, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল এন্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি এন্ড অ্যাডভাইজর সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. পারভীন আক্তার বানু, গাইনি অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন, অধ্যাপক. ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অধ্যাপক ডাক্তার সাহানা পারভীন, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি ও রেডিয়েশন বিভাগের বিগ্রে. জেনা. (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউসূফ আলী, অধ্যাপক ডা. মো. এহতেশামুল হক, অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসাইন এবং অধ্যাপক ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক। অনুষ্ঠানে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার প্রসঙ্গে নানা তথ্য তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার। যেটি স্ত্রীরোগ ঘটিত ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা পরবর্তীতে ক্যানসারে পরিণত হয়। জরায়ুর আস্তরণ গঠনকারী কোষের স্তরে শুরু হয় এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার। যেটি জরায়ুর বডি/উপরিভাগের ক্যানসার নামেও পরিচিত। এতদিন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের প্রকোপ বেশি লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে বাংলাদেশেও এই ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীদের প্রজনন অঙ্গের কপ্রণসারের মধ্যে অন্যতম এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৬৭৮৮০ জন মানুষ এই ক্যানসারে শনাক্ত হতে পারেন যার মধ্যে মৃতু্য হতে পারে ১৩২৫০ জনের। যদিও এই অনুমান ভিত্তিক সংখ্যার মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার এবং জরায়ু সারকোমা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ২০০০ সাল এর মাঝামাঝি থেকে এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যর হার ১ দশমিক ৭ ভাগ বেড়েছে। এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসারের সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে জানা যায় যে এন্ডোমেট্রিয়ামের কোষের ডিএনএতে পরিবর্তন বা মিউটেশন তৈরি করার জন্য কিছু ঘটে। এই মিউটেশনগুলি স্বাভাবিক, সুস্থ কোষগুলোকে অস্বাভাবিকগুলোতে পরিণত করতে পারে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি