আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছেন তারা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বিদেশি প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন; বিদেশি
রাষ্ট্রদূতকে ভগবান জ্ঞান করে রাজনীতি করছেন। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, তারা জনগণের ক্ষমতায়নেও বিশ্বাস করে না। তাদের নির্ভরতা কেবল বিদেশি শক্তির ওপর। সে কারণে বিএনপি বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে।
বিপরীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনকল্যাণের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করা হয় বলেও উলেস্নখ করেন কাদের।
বিবৃতিতে আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের মুখে বিদু্যৎ নিয়ে কথা মানায় না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন খুলে দেশের জনগণের টাকা লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছিল; তখন বিদু্যৎ খাতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। বিএনপির সময় দিনে তখন ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদু্যতের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বিদু্যতের পরিবর্তে শুধু খাম্বা স্থাপন করে দেশবাসীর সঙ্গে তামাশা করা হয়েছিল। বিএনপি এক মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন করতে পারেনি উল্টো ৫ বছরে ৯ বার বিদু্যতের দাম বাড়িয়েছিল। সেখানে শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপের কল্যাণে বিদু্যৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছে! একদিকে তারা প্রতিনিয়ত মিডিয়ার সামনে অবাধ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, অন্যদিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে!
বিএনপির এই দ্বিচারিতা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার সম্পর্কে দেশের মানুষ সচেতন। শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।