মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পূর্ব বিরোধের জের

বিজয়নগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত শতাধিক

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিজয়নগরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত শতাধিক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দাঙ্গাবাজরা।

বুধবার সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুলস্না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক লাঠিপেটা এবং ৬ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অভিযুক্ত ৩৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করে পুলিশ।

আহতদের মধ্যে- কাউসার (৪২), মুখলেছ মিয়া (২৯), মোহন মিয়া (২৫), জহুরুল হক (৩২), আবদুলস্নাহ (২৫), ছুট্টু মিয়া (৫৫), মিলন মিয়া (২৩), রিপন মিয়া (২৯), জাকির মিয়া (২৮), রিপন মিয়া (২২), আব্বাস আলী (৪৫), তানভীর (২২), আশু মিয়া (৪২), শফিকুল (৩২), রফিক মিয়া (৩৮), জসিম (৩২), রিপন (২৮), আবু লাল (৪০), কাউসার (১৪), আবন মিয়া (৩০), জয়নাল (৪০), লুৎফুর মিয়া (৩০), সাদেকুল ইসলাম (৪০), নাজমুল (২০), অহিদ মিয়া (৪০), তারেক (২০), রাহিম (৩০), জসিম (২০), সিরাজ (৪৫), খোশনাহার (৪০), রাসেল (১৪), নাসির মিয়া (৪৫), ফায়েজ মিয়া (৩০), বিলস্নাল মিয়া (৩৫), আবদুলস্নাহ মিয়া (২৭), আবু তাহের (৯০), মোশাররফ (৩০), সাকিব (১৮), মিলন (২৮), মনা মিয়া (১৮), নাঈম (১৫), হাকিম (৩০), শামীম (৩০), আবুল হোসেন (৩৫), মোজাম্মেল মিয়া (২৫), মামুন (৩৫), আজগর (৪০)সহ ৬৯ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নারীঘটিত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের বুলস্না গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীনের গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য কাউসার আহমেদের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ইউপি মেম্বার কাউসার আহমেদের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়নাল আবেদীন পরাজিত হন। এরপর থেকে পুরনো বিরোধ আরও চাঙ্গা হয়। গত ৩ মাস আগে ইউপি সদস্য কাউছার আহমেদের মেয়েকে জয়নালের পক্ষের মহসীন নামক এক যুবক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আদালতে পাল্টাপাল্টি বেশ কয়েকটি মামলাও চলমান। পুরনো এসব বিরোধের জেরে বুধবার সকাল ৭টায় জয়নালের গোষ্ঠীর লোকজন ও বর্তমান মেম্বার কাউছার আহমেদের গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় জয়নাল আবেদীনের গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে গ্রামের ছোট-খাটো আরও ৫-৬টি গোষ্ঠীর লোকজন যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাপক লাঠিপেটা ও ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল থেকে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইউপি সদস্য কাউসার আহমেদও রয়েছেন।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে