নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ৭ জানুয়ারির পর মানুষ একটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা এমনভাবে নেমেছিলাম, মানুষ ভেবেছিল এই সরকার এবার শেষ। কিন্তু তা হয়নি। যখন সবাই মিলে রাজপথে নামবে, তখন তারা চলে যেতে বাধ্য হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত 'গণতন্ত্র, মানবাধিকার-ভোটের অধিকার চাই' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি
এসব কথা বলেন।
নিজেদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, 'আমরা যে আন্দোলন করেছি, তাতে কখনও ভাটার টান পড়েনি। বিএনপি যদি এখন একটা সমাবেশের ডাক দেয়, তাহলে এখনও পল্টনের এক মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যাবে না। আমরা বলছি না, আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে বসাবো। আমরা বলছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া হোক। এটা খুবই ন্যায্য একটা দাবি।'
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, 'এই সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। যারা এই সরকারকে মদদ দিচ্ছে তাদের সাথেও কোনো আপস করবো না। সেটা চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত যেই হোক না কেন। শুনেছি আমেরিকার কর্মকর্তারা নাকি সরকারের সঙ্গে কথা বলছে, মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়ার জন্য। এরকম শুনলে ভালোই লাগে। তাই আমাদের যুগপৎ আন্দোলন চলছে, চলবে।'
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলস্নাহ আল নোমান বলেন, 'দেশে যদি রাজনীতি না থাকে, রাজনীতির প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে সম্ভব না হয়, তাহলে এই সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। আমাদের অন্য প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এগিয়ে যেতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক, যার মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটবে। এখন কথা কম কাজ বেশি এটাকে সামনে নিয়েই আমদের এগিয়ে যেতে হবে। এটা আমি ২৮ তারিখের পরও বলেছিলাম, এখনও বলছি। আমাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণে মানবকল্যাণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে আমাদের জাতীয় নেতাদের।'
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, 'দুর্ভিক্ষ আমাদের দেশে ঢুকে যাচ্ছে। বর্ডারে শত শত ট্রাক কচুরমুখি নিয়ে দেশে ঢুকছে। কচুরমুখি কখন খায়? যখন দেশে দুর্ভিক্ষ আসে। আজ আওয়ামী লীগের একেকটা নির্বাচন হচ্ছে একেকটা স্টাইলে। আর সেই নির্দেশনা আসছে ভারত থেকে।'
জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন বলেন, 'গণতন্ত্রের প্রধান বাধা আওয়ামী লীগ। তারা তিনটা নির্বাচন করেছে। কিন্তু বিএনপিকে বাইরে রেখে। তারা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় না। এই সরকার এবার তাদের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবে না। আমরা এমন আন্দোলন করবো, এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।'
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমাদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।