আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজার ছড়িয়ে দিতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ, উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে শিল্পপতি, শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্বের সম্ভাব্য সব স্থানে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজার ছড়িয়ে দিতে হবে। কয়েকটি পণ্যের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে এবং অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মঙ্গলবার 'জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৪' উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। কোনো দুষ্টুচক্র বা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, কেউ যাতে উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে ও থাকবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকরাই উৎপাদনমুখী শিল্পের চালিকাশক্তি। কারখানা ও শ্রমিক একে-অপরের পরিপূরক। শ্রমিক ভালো থাকলে কারখানা ভালো থাকবে। মনে রাখতে হবে, আপনারা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। আপনাদের সামাজিক দায়িত্বের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নতুন প্রযুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করারও অনুরোধ করেন। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমানে বস্ত্র খাত আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে শুধু জাতীয় অর্থনীতিকেই সমৃদ্ধ করেনি, একই সঙ্গে নিশ্চিত করেছে অগণিত মানুষের কর্মসংস্থান, যার ৮০ শতাংশ নারী এবং পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস। তিনি বলেন, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ বস্ত্রশিল্প থেকে অর্জিত হচ্ছে। গ্রামীণ দারিদ্র্যবিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারর্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মো. শহীদুলস্নাহ আযম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ১১টি প্রতিষ্ঠান-ব্যবসায়ীকে রাষ্ট্রপতির সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।