মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মসিক নির্বাচন

১৫ দফা ইশতেহার মিল্কী টজুর

ময়মনসিংহ বু্যরো
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
১৫ দফা ইশতেহার মিল্কী টজুর

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ১৫ দফা ইশতেহার দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কী টজু। গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।

গতকাল বেলা ১টায় ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু। নিজের বক্তব্যে সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়ার কথা উলেস্নখ করা হয়। এমপির সমর্থন টজু পেয়েছেন এমন কথাই উঠে আসে আলোচনায়। লিখিত বক্তব্যে টজু উলেস্নখ করেন, আমাদের প্রয়োজন নগরপিতার পরিবর্তে একজন নগর সেবকের। এই পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে এক যুগের অধিক একজন ব্যক্তি দায়িত্বে আছেন। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনগুলো এই সময়ের মধ্যে যেখানে নাগরিক সুবিধা, সৌন্দর্যবর্ধন ও বিভিন্নমুখী নাগরিক সেবার সম্প্রসারণ ও বিস্তার ঘটিয়ে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা থেকে আমাদের এই নগরী যোজন যোজন পথ পিছিয়ে আছে। তাদের ব্যর্থতার কারণে নগরবাসীর জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিণতি। তিনি আরও উলেস্নখ করেন, হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের গতি মন্থর করে নগরবাসীকে উন্নয়ন বঞ্চিত করে কি বার্তা দিতে চান বর্তমান নগরপিতা তা আমাদের বোধগম্য নয়। যেখানে আমাদের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ প্রয়াত মতিউর রহমান এবং তার সন্তান সদ্যবিজয়ী জাতীয় সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর সহযোগিতা নিয়ে এই নগরীর উন্নয়নে সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক-সামাজিক দ্বন্দ্ব তৈরি করে আমাদের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছেন।

সিটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ১৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু। ইশহেতারে রয়েছে- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনকে একটি আধুনিক ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নগরীর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স সুসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং লাঘব করা। নগরীকে যানজট ও বায়ু দুষণমুক্ত করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ওভার ব্রিজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম আধুনিক, প্রশস্ত ও উন্নত করা হবে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি নির্মিতব্য স্টিল আর্চওয়ে ব্রিজকে বিবেচনায় নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা হবে। ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করে এর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। নদীর পাড় দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ময়মনসিংহ নগরী শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাত ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে এর সুনাম বৃদ্ধি করা হবে। পরিকল্পিতভাবে পার্ক, পাবলিক টয়লেট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার করার মাধ্যমে যুবসমাজকে মাদকাসক্তি ও অসামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে