আজকের যায়যায়দিন

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ন প্রকল্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নারী-শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর মৃতু্য হয়েছে।

\হশনিবার সকালে আশ্রয়ন প্রকল্প-৩-এর ৮১ নং ক্লাস্টারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

\হভাসানচর থানার এস আই নূর হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৮১ নং ক্লাস্টারে রুম-ই-৬-এর বারান্দায় সফি আলম নামে এক বাসিন্দা এনজিও কর্তৃক সরবরাহকৃত গ্যাস সিলিন্ডার জমা দেওয়ার আগে মুখ খুলে দেখছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সিলিন্ডারে থাকা গ্যাস আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পাশের কক্ষে সানজিদা নামক এক নারী চুলায় ভাত রান্না করছিলেন। বাতাসের সঙ্গে খোলা গ্যাস ?জ্বলন্ত চুলার সংস্পর্শে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

\হএতে নারী, শিশুসহ ৯ জন আহত হয়। দ্রম্নত তাদের উদ্ধার করে জেলা সদরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত মির্জা ফখরুল

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসা ৯ রোহিঙ্গার মধ্যে ৫ জন শিশু, ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে ৫ শিশুসহ মোট ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ শিশুর সবার ৫০ ভাগের উপরে দগ্ধ হয়েছে।

\হভাসানচরে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইএনএইচসিআর) কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আহতরা হলেন- আমেনা খাতুন (২৪), সফি আলম (১২), মো. রবিউল (৫), মো. সোহেল (৫), মো. রাসেল (৩), মোবাশ্বেরা (৩), বশির উলস্না (১৫), রশমিদা (৩) ও জোবায়দা (১১)।

এস আই নূর হোসেন আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, যার নং ৫৪২। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।