শহরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

চান্দিনা থেকে দম্পতির গলিত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
কুমিলস্নায় পৃথক দু'টি ঘটনায় দম্পতিসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নগরীতে শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোরে কুমিলস্না নগরীর নেউরা এলাকায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। নিহত ব্যক্তি নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিনের ভাই। এছাড়া শুক্রবার রাতে চান্দিনা পৌর এলাকার একটি বাসা থেকে এক দম্পতির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা পৌর এলাকার রারীরচরের একটি ভাড়া বাসার বাসিন্দা ছিলেন। পুলিশ ও নিহত ব্যবসায়ীর পারিবারিক সূত্র জানায়, শাহ আলম প্রায় ১৯ বছর ধরে প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে প্রায় দেড় বছর আগে কুমিলস্না নগরীর নেউরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের ব্যবসা করছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে নিহতের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন জানান, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এ মুহূর্তে আমরা বলতে পারছি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে চান্দিনা পৌরসভার রারিরচর এলাকার স্বপ্না বেগমের বাসার দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে রোজিনা আক্তার ও তার স্বামী কুমিলস্না নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল। নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রেম করে তাদের বিয়ে হয়েছিল, তবে তাদের কোনো সন্তান নেই। চান্দিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম জানান, মরদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তিন থেকে চার দিন আগে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোজিনা আক্তার একটি পার্লারে কাজ করলেও তার স্বামী সোহেল কোনো নির্দিষ্ট কর্ম ছিল না। তিনি কিছুদিন আগে মাদক মামলায় জেল থেকে বের হন। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী সোহেল ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা ও আত্মহত্যার পৃথক মামলা হয়েছে।