বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

মজুতদার ও সিন্ডিকেটের মদদ দিচ্ছে বিএনপি : কাদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ওবায়দুল কাদের

দ্রব্যমূল্যে 'অরাজক পরিস্থিতি'র সৃষ্টি করতে মজুতদার ও সিন্ডিকেটের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'বিএনপি সিন্ডিকেট লালন-পালন করেছে, মজুদদারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে- এ কথা বললে কি ভুল হবে? যারা করছে তারা বিএনপির পুরনো সিন্ডিকেট।'

শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে- এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। বিভিন্নভাবে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন।'

'বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে', স্বীকার করে তিনি বলেন, 'এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির ওপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, তার আলোকে সবাই কাজ করে যাচ্ছে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিদু্যতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদু্যৎ সুবিধা যদি বজায় রাখতে চাই তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে।'

ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দফায় দফায় বিদু্যতের দাম বাড়িয়েছিল উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং এবং সেখানে বিদু্যতের দাম পাঁচ বছরে তারা ৯ বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদু্যৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার সাতশ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।'

বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং এই আন্দোলনে সরকারের পতন অবশ্যই হবে এক বিএনপি নেতার এমন মন্তব্যের বিষয়ে

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এখন প্রশ্ন হচ্ছে দেশে একটা নির্বাচন হয়ে গেল। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে কত ভয়ংকর ভূমিকায় বিএনপি হতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। জনগণের সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ভুল ও নেতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একসময় নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আন্দোলনে তাদের ভুল আছে। নির্বাচনে না আসাটা বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল। এখন তারা উপলব্ধি করবে।'

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলে নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব চলছে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক যারা তৃণমূলে আছেন তারা তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপির অনেকেই অংশ নেবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক কেন।'

এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থসম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন।'

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এবার নির্বাচনে যত বেশি-বিদেশি খেলা হয়েছে, তখনো ভারত আমাদের পাশে ছিল। এখানে শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন কেন আসবে? বন্ধু বন্ধুর মতো থাকবে। সহযোগিতার অর্থ নিয়ন্ত্রণ নয়। পারস্পরিক সহযোগিতা, সমন্বয় এখন খুবই জরুরি। ডিপেস্নামাসি উইথ কমনসেন্স খুবই জরুরি।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে