অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজায় দন্ডিত এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ জি কে শামীমকে জামিন দিয়েছিল।
পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে নিয়মিত লিভ টু আপিল করার আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায়র্ যাব।
ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।
তখনই শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করের্ যাব।
এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রত্যেক মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলা হওয়ার এক মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় শামীম ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার্ যাব ১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মলিস্নক।
২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়।
বিচার শুরুর আড়াই বছরের মাথায় ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইবু্যনালের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়।
দন্ডিত অপর আসামিরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।