নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তুষার নামে এক যুবক জেলা কারাগারে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন।
বুধবার তিনি বলেন, 'নিহত তুষার সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ২০২০ সাল থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। মামলাটির কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে ছিল। ইদানীং তুষার কারাগারে নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করেন? তাহাজ্জুদ নামাজও পড়তেন তিনি। সবার কাছে দোয়া চাইতেন আর বলতেন, আমার কখন কী হয়ে যায় জানি না, তোরা সবাই আমার জন্য দোয়া করিস।'
তিনি আরও বলেন, 'সম্ভবত আগে থেকেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন। কারাগারে দেওয়া চাদর ছিঁড়ে তিনি গলায় ফাঁস দেন। কয়েদি ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি দেখে তাকে দ্রম্নত নামিয়ে শহরের জেনারেল
হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) নিয়ে গেলে ৩০ মিনিট পর তিনি মারা যান।'
২০১৮ সালে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় শামীম নামে এক যুবকের সঙ্গে তুষারের ঝগড়া হয়। ওই সময় তুষার লাঠি দিয়ে শামীমের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় তুষারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শামীম। আর সেই মামলা দায়েরে সাংবাদিক ইলিয়াস উসকানি দিয়েছিলেন বলে ধারণা তুষারের। এছাড়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগ দেওয়ার টাকা নিয়ে তুষার, ইলিয়াস, মাসুদসহ আরও কয়েকজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই সাংবাদিক ইলিয়াসকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।