সংসদ কার্যকর হতে বাধা নেই :কাদের

সংরক্ষিত আসনে আ'লীগের ৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠন হয়েছে, ভোটার উপস্থিতিও ভালো ছিল। নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। বর্তমানে সংসদে বিরোধী দল আছে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আছেন। তারা সরকারের কাজের সমালোচনা করবেন। সংসদ কার্যকর হতে কোনো বাধা নেই।' রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকাল ৩টায় প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেন, '৪৮ জনের মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র ও ১৪ দলেরও সদস্য রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা।' মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই ৪৮ জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নতুন মুখ। ১৪ দলীয় দলের শরিকদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির কানন আরা বেগমকে আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত আসনে এমপি করে নিচ্ছে। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছেন এবং মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে- এরকম অন্তত তিনজন সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার টিকিট পেয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। সংসদ কতটা কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'সংসদ কেন কার্যকর হবে না? বাধাটা কোথায়? একটা ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন হয়েছে। যেখানে টার্ন আউট ফোরটি ওয়ান পস্নাস। বিরোধীদলের ভূমিকা জাতীয় পার্টি অলরেডি তাদের কার্যক্রম সংসদে শুরু করেছে। বিরোধী দল আছে, এমনকি স্বতন্ত্ররা প্রয়োজনে তারা মনে করলে সরকারের সমালোচনাও তারা করতে পারে। সমালোচনার জন্য স্বতন্ত্ররা আছেন, বিরোধী তো আছেই। তাই সংসদ কার্যকর হওয়ার পথে কোনো অন্তরায় বা বাধা আছে বলে আমরা মনে করি না।' বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই বিএনপির আন্দোলনে ডাকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপিকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তারা মুখে যা বলছে, কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তাদের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। মানুষ তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি।' নিবন্ধন বাতিল করে বিএনপিকে নিষিদ্ধের দাবিতে যুবলীগ ইসিতে যে আবেদন করেছে, সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো কিছু ভাবছে না বলেও জানান কাদের। তিনি বলেন, 'যুবলীগ আমাদের একটা সংগঠন। তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা রয়েছে। তারা দাবি করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা করলে বলতাম। আমাদের কোনো নেতা এ বিষয়টি অবতারণা করেনি। আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগের এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে গেল বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে, তাতে কী আমরাও ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলুক। যুবলীগ যুবলীগের চিন্তা থেকে বলছে, যুবলীগ চাইলে তো একটা জাতীয় দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না, বিষয়টা তো মূল দল আওয়ামী লীগ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।' মনোনয়ন জমা দিলেন যারা নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সকল প্রার্থীর হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন- রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবী আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট), কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফরজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রশীদ (পটুয়াখালী), ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মি ফারজানা ছাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিয়া বিনতে আমিন (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ), আরমা দত্ত (কুমিলস্না), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা), বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ (বরিশাল), নাহিদ ইজাহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা হাসান (ফরিদপুর), সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ), শাহেদা তারেখ দীপ্তি (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নরসিংদী), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম (টাঙ্গাইল), আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর), অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল), হাছিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্ণীপুর), আশ্রাফুননেছা (লক্ষ্ণীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলোয়ারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম), ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম (ঢাকা), নাছিমা জামান ববি (রংপুর)।