রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিলস্নুল হাকিম বলেছেন, বিএনপি সরকার গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দক্ষ জনবলকে বিদায় করে রেলের ক্ষতিসাধন করেছে। রেল কারখানায় দক্ষ লোকবল নেই, যারা আমাদের উৎপাদনে সহায়তা করবেন। এখন কারখানা চালানোর জন্য নতুন লোক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে রেল কারখানাকে উন্নত করা হবে।
শনিবার দুপুর ১২টায় রেলপথমন্ত্রী নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জিলস্নুল হাকিম বলেন, রেলওয়ের প্রত্যেকটি কারখানার ক্যাপাসিটি অনেক। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো দক্ষ লোকবলের অভাব। দক্ষ জনবল তৈরি করা গেলে অনেক কিছু করতে পারব। আগে রেলে ব্রিজের গার্ডার তৈরি করা হতো। দক্ষ লোকবল অভাবে তা তৈরি করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী চান রেলকে স্বাবলম্বী করতে। তাই রেল কারখানার যত মেশিনপত্র আছে, তা শতভাগ ব্যবহার করে রেলকে উন্নত করে গড়ে তোলা হবে। রেলে যে সমস্যা আছে তা রেলওয়ে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সমাধান করা হবে।'
রেলওয়ের বেদখল জমি প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, রেলের সম্পদ রাষ্ট্রের। কিছু দুর্বৃত্ত আছে তারা জমি দখলের মতো অবৈধ কাজ করছে। রেলওয়ের জমি যতটুকু প্রয়োজন তা উদ্ধার করা হবে। ইতোমধ্যে বেহাত জমির তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা ক্যাটাগরি করব। যারা বৈধভাবে লিজ নিতে চাইছে, তাদের লিজ দেওয়া হবে। আর অবৈধ দখলদারদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।'
মন্ত্রী রেলকে আধুনিক করার প্রশ্নে বলেন, 'প্রথমে মানুষগুলোকে স্মার্ট ও ভালো হতে হবে। মানুষ ভালো না হলে চেষ্টা করে কোনো কিছু করা যাবে না। রেলকে পরিবার ভেবে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ
করতে হবে।'
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) পার্থ সরকার, পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, পশ্চিম রেলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই-খুদা, পশ্চিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী রাশেদ ইবনে আকবর, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ডিএস সাদেকুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন ও সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন প্রমুখ।
মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে রেল কারখানার সমস্যা সমাধানে রেলওয়ের সব ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এর আগে মন্ত্রী পার্বতীপুর থেকে সড়কপথে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আসেন। এ সময় তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর মন্ত্রী রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ, পেইন্ট, ফাউন্ডারি ও মেশিন সপ পরিদর্শন করেন।