বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তোলন শুরু
প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দেশের বৃহৎ কয়লা খনি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ১২০৯ ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। ১ মাস ১৬ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে দৈনিক ১.৫০০ থেকে ২ হাজার টন এবং পরে দৈনিক ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টন হারে উত্তোলিত হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া
তাপ বিদু্যৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় বিসিএমসিএল ও কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় শ্রমিকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পূর্বেই ১২০৯ ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
জানা যায়, ১৪১২ ফেসের কয়লা উত্তোলন শেষে সব ইকু্যইপমেন্ট স্যালভেজ যথাযথ মেইন্টেন্যান্সকরণ এবং চীন থেকে আসা নতুন এক সেট পাওয়ার সাপোর্ট ১২০৯ ফেসে ইনস্টলেশন শেষে এই ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। এই ফেসের কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬০ লাখ টন। যা আগামী জুলাই ২০২৪ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উত্তোলিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তোলিত সমূদয় কয়লা নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।
১২০৯ ফেসের পূর্বে ১৪১২ ফেস থেকে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে কয়লা উত্তোলন শেষ হয়। ১৪১২ ফেস থেকে ২.২০ লাখ টন কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা'র বিপরীতে প্রায় ২.৭২ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা'র চেয়ে প্রায় শতকরা ২৪ ভাগ বেশি। ফেসের যাবতীয় ইকু্যইপমেন্ট স্যালভেজ শেষে খনির নিরাপত্তার স্বার্থে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ফেসটি সিল করে দেওয়া হয়।
উলেস্নখ্য, বর্তমানে বিসিএমসিএল ও পিডিবি প্রান্তে পিডিবির অনুকূলে প্রায় ৭৫ হাজার টন কয়লা'র মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপবিদু্যৎ কেন্দ্রে দৈনিক ১৮০ মেগাওয়াট হারে বিদু্যৎ উৎপাদনের বিপরীতে দৈনিক প্রায় ১ হাজার ৮৫০ টন কয়লা ব্যবহার করছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশল মো. সাইফুল ইসলাম নতুন ফেসে কয়লা উত্তোলনের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।