বাজারদর

সবজিতে স্বস্তি, ডিম-মাংসে অস্বস্তি

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চড়া দামেই অপরিবর্তিত রয়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের বাজার। এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কমেছে, তবে অস্বত্বি রয়ে গেছে পেঁয়াজের বাজারে। এছাড়াও বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মসলা পণ্যে। নতুন করে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এদিকে রমজানে দাম সহনীয় রাখতে বিদায়ী সপ্তাহে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের দাম নির্ধারণের কথা বলা হলেও তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। ফলে এই চার পণ্যের বাজারও আগের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে মাসভিত্তিক খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়েছে, গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এছাড়া মাছ, মাংস, চাল, ডাল, ডিম, দুধ ও সবজিতেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) জানুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। তবে শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকার উপরে। যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার মধ্যে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, হালি পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম বাড়তির দিকেই থাকবে। এছাড়াও বাড়তিই রয়েছে ডিমের দাম। এদিনও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে দেড়শ' টাকা দরে। অপরিবর্তিত দামে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৪০ টাকা দরে। অন্যদিকে এ সপ্তাহে সবজির বাজারে দাম আরও কিছুটা কমেছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের শিম, মুলা ও শালগমের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকার উপরে। এছাড়াও ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার উপরে। মাঝারি আকারের লাউয়ের দামও প্রায় ২০ টাকা কমে এদিন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে আলুর কেজি ৩৫ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, টমেটো গাজার ও শসার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ও করলা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ ভালো, যে কারণে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দীর্ঘদিন পরে সবজির দাম নিম্নমুখী। এদিকে বাজারে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। জানুয়ারিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হলে চলতি মাসে তা ৭০০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে। এদিন যা আরও বেড়ে ৭৫০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, রোজা ও কোরবানি সামনে রেখে খামারিরা গরু বিক্রি কমিয়েছেন। সেজন্য বাজারে সরবরাহ কম, দাম বাড়ছে। এদিকে বাজারে এখনো প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। একইভাবে গত সপ্তাহের চড়া দামে অপরিবর্তিত রয়েছে মসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, ভালো মানের মুগ ডালের কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এছাড়াও গত সপ্তাহের দামে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের বাজারে। এদিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০, বড় কাতল ৪শ', বড় পাঙ্গাশ ২৫০, চাষের কই (ছোট) ৩৩০, তেলাপিয়া আড়াইশ ও শিং মাছ ৬শ', শোল মাছ ৮শ', পাবদা ৫শ' থেকে ৬শ', ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৬শ' থেকে ৭শ', মলা মাছ ৫শ', বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ', মাঝারি আকারে বোয়াল ৫শ' থেকে ৬শ', গুড়ামাছ ৩শ', ছোট চিংড়ি ৫শ', গলদা ৭শ' এবং বাগদা ৮শ' থেকে ৯শ' ও রূপচাঁদা ৯শ' টাকা দরে।