সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার্ যাব সদস্য আহতের ঘটনায় দুই মামলা গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার্ যাব সদস্য আহতের ঘটনায় দুই মামলা গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় তিনর্ যাব সদস্যের আহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। হামলার ঘটনায় মাদক আইনে ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দায়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছের্ যাব। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ১৫ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩/৪শ' জনকে। আহতর্ যাব সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আমাদের নরসিংদী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন

জানান, গত ১২ ফেব্রম্নয়ারি দিবাগত রাত ৮টার দিকে জেলার রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নিলক্ষ ইউনিয়নের সোনাকান্দী গ্রামের্ যাব-১ এর একটি দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে সেখানকার বাসিন্দা ইউনুছ আলীকে (৪০) আটক করেনর্ যাব সদস্যরা। এ সময় ইউনূছ আটককারীর্ যাব সদস্যরা অপহরণকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। অভিযান পরিচালনাকারীরা নিজেদেরর্ যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্রও দেখান। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবের্ যাব সদস্যরা অপহরণকারী বলে গুজব রটিয়ে দেয় মাদককারবারিরা। গুজব ছড়িয়ে মাদককারবারিরা সংঘবদ্ধভাবের্ যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয়রা জানান, দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলাকারীরার্ যাব সদস্যদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। হামলায় ইমরান হাসান নামে একর্ যাব সদস্য ক্ষতবিক্ষত হন। তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অপর দুইর্ যাব সদস্য মাসুম বিলস্নাহ ও রায়হানও মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রার্ যাবের সহায়তায় দ্রম্নত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ যায়যায়দিনকে বলেন,র্ যাব সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।র্ যাব-১ এর উত্তরা কার্যালয়ে কর্মরত টিআই এস এম ইমতিয়াজ আলী বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে একজনকে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২/৩ জনকে।

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসাবে ১৪ জনের নাম উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে। যাকে আটকের সূত্র ধরে ঘটনাটি ঘটে সেই ইউনুছ আলীকে কৌশলগত কারণে মামলায় আসামি করা হয়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

র্

যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন যায়যায়দিনকে বলেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের সূত্র ধরে অভিযানটি পরিচালিত হয়। মূলত চিহ্নিত, পেশাদার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছিল। পরিকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা অভিযান পরিচালনাকারীর্ যাব সদস্যদের অপহরণকারী বলে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে