চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

চবি প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রম্নতার জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই বগিভিত্তিক উপগ্রম্নপ 'বিজয়' ও 'সিক্সটি নাইন'। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে বেলা ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে 'সিক্সটি নাইন' পক্ষের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে 'বিজয়' গ্রম্নপের কর্মী কামরুলের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ নিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে বিজয় উপপক্ষের নেতাকর্মীদের মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয়ের নেতারা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন। আর সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। বিজয় গ্রম্নপের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভাগের সমস্যা নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার এই বিষয়ে সমাধান করার জন্য তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হয়। সেই জেরে তারা আজ আমাদের কয়েকজন ছোট ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এরপর সংঘর্ষ বেঁধেছে। আমরা এই ঘটনার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।' সিক্সটি নাইন গ্রম্নপের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, 'নিজেদের মধ্যের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বেধেছে। সোহরাওয়ার্দী হলের বিজয় গ্রম্নপের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী আছে, তারাই মূলত উসকানি দিয়ে সংঘর্ষ বাধায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।' বিশ্ববিদ্যালয় চিফ মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, 'মেডিকেলে ১৫ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।' এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, 'দুই ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। আমরা দুই পক্ষকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'