সিলেটে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সিলেট অফিস
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বাসিয়া নদীর ওপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী পায়ে চলার পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ৬ ফেব্রম্নয়ারি লালাবাজারের ৪১ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে টিলাবাড়ি গ্রামের আজাম আলীর ছেলে আব্দুল করিমের দায়ের করা রিটের (নং-১১৪১/২৪) প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমা হায়দার ও কাজী জিন্নাত হক এই রুল জারি করেন। রুলে লালাবাজারের পশ্চিম বাজারে বাসিয়া নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরনো সেতুটি ভাঙার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বিগত ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বরের (স্মারক নং৪৬০২৯১০০.০০০.১৪.৪৮৮.২৩-৪১০১) ওয়ার্ক অর্ডারটি কেন বাতিল করা হবে না-এই মর্মে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এলজিইডিকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। রিটকারী আব্দুল করিম বলেন, 'আমরা ৬৫ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আমাদের দাবি, পুরনো ব্রিজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রিজ করা হোক।' লালাবাজারের ব্যবসায়ী ধন মিয়া বলেন, 'আমাদের পায়ে চলার ব্রিজটি অনেক পুরনো। পুরনো ব্রিজটি না ভেঙে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রিজ করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এতে ঐতিহ্যবাহী সেতু রক্ষা পাবে। পাশাপাশি নতুন ব্রিজের সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো বাজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু এলজিইডির প্রকৌশলীরা আমাদের দাবি না মেনে ঐতিহ্যবাহী ব্রিজটি ভেঙে ফেলেছেন। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করেছি।' সিলেট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, 'লালাবাজারে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা পুরনো ব্রিজটি ভেঙে ফেলেছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রিট বা রুলের কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। নথি পাওয়ার পর আমাদের আইন শাখার মাধ্যমে এ বিষয়ে জবাব দাখিল করা হবে।'