দ্রম্নত সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি সাংবাদিকদের
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো সুরাহা হয়নি। শুরু হয়নি বিচার প্রক্রিয়াও। কিন্তু তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সমালোচনা করে দ্রম্নততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
\হরোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা জানান, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রম্নয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন সাগর-রুনি। ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু ১২ বছর ধরে ঝুলে আছে মামলার তদন্ত।
বক্তারা বলেন, গত ১ ফেব্রম্নয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দোষীদের সঠিকভাবে নির্ণয়ে তদন্তে যতটা সময় লাগে তা দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, তাও দিতে হবে।'
আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে 'কান্ডজ্ঞানহীন' উলেস্নখ করে সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান বলেন, 'আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করবো না।'
ডিআরইউ সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, 'আইনমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আমরা মর্মাহত। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও কাছ থেকে এমন মন্তব্য আমরা আশা করি না।'
সাগর-রুনি হত্যার বিচার আদায়ে সাংবাদিক নেতাদের আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটির সদস্য ফারহানা জ্যোতি বলেন, 'সরকার আন্তরিক হলে এই মামলার জট খুলে যেত।'
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি মোরসালীন নোমানী, ডিইউজের সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ডিআরইউ'র সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী। এছাড়াও সমাবেশে ছিলেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর একযুগ কেটে গেলেও এখনও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন। কবে নাগাদ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে, তাও বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০৫ বারেরমতো সময় নিয়েছে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা। মামলাটি থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশের হাত ঘুরে বর্তমানে আছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) হাতে।