রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার চালু হচ্ছে : দীপু মনি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার চালু হচ্ছে : দীপু মনি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রবীণদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শুক্রবার সকালে চাঁদপুর আলামিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন,

'বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে প্রবীণদের জন্য ১৩টি শান্তিনিবাস তৈরি হয়েছে। আরও তৈরি হবে। একই সঙ্গে প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার হবে। এটি পাইলট বেসিসে প্রথমে একটি শুরু হবে। সেটির সাফল্য দেখে তারপর আমরা আরও প্রয়োজন হলে করব। কারণ আমাদের সমাজের প্রত্যেক বাড়িতেই একজন না একজন বয়স্ক মানুষ থাকেন। সেই মানুষটিকে যথাযথভাবে যত্ন নেওয়ার সুযোগ হয় না। দিনের অধিকাংশ সময় তিনি একাই বাড়িতে কাটান। অনেক সময় পড়ে যান, ব্যথা পান এবং নানারকম দুর্ঘটনা ঘটে। তার ছেলেমেয়ে কিন্তু তাদের সংসার এবং জীবিকার প্রয়োজনে কাজে বাইরে চলে যান। ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল-কলেজে চলে যায়। প্রবীণ মানুষটিকে দেখার মতো মানুষ অনেক সময়ই থাকেন না। এটি নিয়ে পরিবারের সবারই একটা উৎকণ্ঠা থাকে। এসব কারণে সেই বয়স্ক মানুষটির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একটা বিরাট প্রভাব থাকে।'

দীপু মনি বলেন, 'প্রবীণদের এ বিষয় নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছিলাম। এখন আমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পেয়ে সুযোগটা পেয়েছি। সেজন্য এটিকে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু করার কথা বলেছি। তাহলে আমরা প্রত্যেকের বাড়িতেই আমাদের যাদের বৃদ্ধ মা-বাবা আছেন তাকে দিনের বেলায় একা থাকার বদলে তার সমবয়সিদের সঙ্গে এক জায়গায় থাকবেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সমবয়সিদের সঙ্গে সুন্দর একটি সময় কাটানোর পর সন্ধ্যাবেলা তাকে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। কাজেই আমাদের মা-বাবাদের যাদের কষ্ট হয় তাদের আর বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসতে হবে না। তারা বাড়িতে বাড়ির পরিবেশে থেকে একটি সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন। নিজেরা সুস্থ থাকবেন এবং তাদের সন্তানরাও উৎকণ্ঠার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। সেজন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক নেতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে